ওজন কমাতে বেশিরভাগ মানুষ সবার আগে যে বিষয়টি নিয়ে ভাবেন তা হলো রান্নার তেল। অনেকেই বলেন, সব ধরনের তেলই ওজন কমানোর বিরুদ্ধে কাজ করে। আবার অনেকে মনে করেন, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের তেলের গুরুত্বপূর্ণ কোন ভূমিকা নেই। ওজন কমানোর সঙ্গে তেলের সম্পর্ক নিয়ে এ ধরনের বিতর্কের শেষ নেই। কিন্তু এমন কোন তেল কি আছে, যা আপনি ওজন কমানোর সময় কোন ধরনের শঙ্কা ছাড়াই খাবারে যুক্ত করতে পারেন? হ্যাঁ আছে। আর সেটি হলো সরিষার তেল। এটি এতোটাই স্বাস্থ্যকর যে, খাবারে ব্যবহার করলে আপনি খুবই ভালো ফল পাবেন। চলুন দেখা যাক, সরিষার তেল কীভাবে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সরিষার তেল শরীরের পরিপাকক্রিয়াকে দ্রুত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এর প্রধান কারণ হলো, এই তেলে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের উপস্থিতি। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সে উপস্থিত দুটি উপাদান, নায়াসিন ও রিভোফ্লাভিন খাবারকে দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে যা ওজন কমাতে খুবই সহায়ক।
সরিষার তেলের আঠালো ভাব ও ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে অনেকেই খাবারে এটি এড়িয়ে চলতে চান। তবে সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করলে এটিও অন্যান্য তেলের মতোই হয়ে যায়। এই তেলে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এসব স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শুধু খাবারের স্বাদই বাড়িয়ে দেয় না, বরং রক্তে চর্বির পরিমাণও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রাকৃতিকভাবেই পেটে জমা থাকা ব্রাউন ফ্যাটকে কর্মক্ষম করে তোলে। এ কারণে ওজন কমাতে এটি খুব ভালো কাজ করে।
ওজন কমানো ছাড়াও সরিষার তেলের রয়েছে আরো অনেক বেশি উপকারিতা। এই তেলে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা হার্টের জন্য খুবই উপকারি। এটি শরীরের জন্য ভালো এমন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
সরিষার তেলে গ্লুকোসিনোলেট উপাদানের উপস্থিতির কারণে এটিকে ক্যান্সার প্রতিরোধকও বলা হয়ে থাকে। এটি কলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল উপাদানের মতো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে খুব ভালো কাজ করে।
রান্না ছাড়াও, সরিষার তেল আরো নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। পেশাতে ব্যাথা হলে গরম সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, সরিষার তেল পায়ের পাতা ও বুকে মালিশ করলে সর্দি-কাশি থেকে উপকার পাওয়া যায়।