ইউরোপে ফ্রান্সের পাশাপাশি স্পেন, ক্রোয়েশিয়া ও গ্রিসে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা এই দাবানলে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। রেকর্ড তাপমাত্রা দেখছে যুক্তরাজ্য সহ কয়েকটি দেশ।
এরই মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে ফ্রান্স।
পর্তুগালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তাপজনিত কারণে দেশটিতে মারা গেছেন ৬৫৯ জন। কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪১ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। ১৩টি অঞ্চলে ছড়িয়ে পরা আগুন নেভাতে, কাজ করছে কয়েক হাজার দমকল কর্মী।
এদিকে, স্পেনে তাপজনিত কারণে প্রাণ গেছে ৩৬০ জনের। দেশটির প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। এছাড়াও ফ্রান্সে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ১৪ হাজার মানুষকে।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পূর্বে গ্রিসের দ্বীপ ক্রিট থেকে শুরু করে পশ্চিমে মরক্কো পর্যন্ত আগুন নির্বাপণে হাজার হাজার ফায়ার ফাইটারের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে পানিবর্ষণকারী বিমান।
গত মঙ্গলবার থেকে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে এ অঞ্চল।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনে দাবদাহ অনেক বেশি নিয়মিত, তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। শিল্প যুগ শুরুর পর থেকে পৃথিবী ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তপ্ত হয়েছে। বিভিন্ন রাষ্ট্র কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে না আনলে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
ফ্রান্সের আবহাওয়া দপ্তর সোমবার রেকর্ড তাপমাত্রার আভাস দিয়েছে। পর্তুগালে তাপমাত্রা সম্প্রতি বেড়ে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়।
যুক্তরাজ্যে চরম গরমের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার দেশটির কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।