বর্ষা আসার আগেই গাইবান্ধায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা। ভাঙনের মুখে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষেরা। ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে তাই আন্দোলনে নেমেছে স্থানীয়রা।
উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধার তিনটি নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। সরেজমিনে দেখা যায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী কাপাশিয়া, লালচামার, হরিপুর এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী গৃধারী ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পায়নি করতোয়া নদীর তীরবর্তী কিশামত চেরাঙ্গা ও রঘুনাথপুরসহ বিভিন্ন এলাকা। এসব এলাকার বাড়ি-ঘর, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।
এইসব এলাকায় ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন এসব এলাকার মানুষ।
তবে ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান।
ভাঙনে ভিটেমাটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আগেই স্থানীয় প্রশাসন উদ্যেগ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।