একদিকে মুদ্রাস্ফীতি ৮০ শতাংশের বেশি অন্যদিকে লিরার দামও সমানে কমছে। তার পরও ফের সুদের হার কমালো তুরস্ক।
তুরস্কের সেন্ট্রাল ব্যাংক বৃহস্পতিবার সুদের হার ১৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৩ শতাংশ করেছে। সেন্ট্রাল ব্যাংকের যুক্তি, ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি কমেছে বলে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যদিও মার্কিন ডলারের তুলনায় তুরস্কের লিরার দাম সমানে কমছে। গত ১২ মাসে দাম কমে অর্ধেক হয়েছে। গত পাঁচ বছরের হিসাব ধরলে লিরার দাম ডলারের তুলনায় ছয়গুণ কমেছে।
জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্কের মানুষ অনেক বেশি চিন্তিত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে। এখন মুদ্রাস্ফীতির হার হলো ৮০ শতাংশ। এই বছরের শেষে তা আরো বাড়তে পারে।
খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নির্দেশে তুরস্ক এইভাবে সুদের হার কমাচ্ছে। এরদোগান বিশ্বাস করেন, সুদের হার কমালে মুদ্রাস্ফীতি কমে।
যদিও বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিবিদদের ধারণা একেবারেই উল্টো। তারা মনে করেন, এরকম পরিস্থিতিতে সুদের হার কমালে তা মুদ্রাস্ফীতি আরো বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু এরদোগান নিজের অভিমত থেকে সরে আসতে রাজি নন।
তিনি সেন্ট্রাল ব্যাংককে তার নীতি অনুসরণ করার জন্য জোরাজুরি করেন। ২০১৯-এর পর থেকে সেন্ট্রাল ব্যাংকের তিনজন প্রধানকে তিনি বদল করেছেন। আগামী বছর জুনে নির্বাচন। এরদোগান এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দ্রুত আর্থিক উন্নয়ন করবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরও সেন্ট্রাল ব্যাংক একাধিকবার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সুদের হার কমিয়েছে। তার প্রভাব মুদ্রাস্ফীতি ও লিরার দামে পড়েছে।