কাতার বিশ্বকাপের আগেই নতুন ঝামেলায় জড়িয়েছেন নেইমার। কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে। অপরাধ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছরের জেল হতে পারে নেইমারের।
বুধবার (২৭ জুলাই) স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা এর প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১১ সালে নেইমারের সঙ্গে চুক্তি হয় বার্সেলোনার। সে সময়ে নেইমারের মূল্যের ৪০ ভাগ মালিকানা ছিল ডিআইএসের। ১৭.১ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে সান্তোস থেকে নেইমারকে কিনে নেয় বার্সা। ফলে ওই টাকার ৪০ ভাগ পায় ডিআইএস। কিন্তু পরে জানা যায় নেইমারকে কিনতে ৫৭.১ মিলিয়ন খরচ হয়েছিল। এই সত্য জানতে পেরে ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি অভিযোগ করে দলবদলের আসল অঙ্ক গোপন করে তাদের ঠকানো হয়েছে।
পরবর্তীতে জানা যায়, বার্সেলোনাকেই বেছে নেয়া নিশ্চিত করতে নেইমার ও তার বাবাকে আরও ৮৩.৩ মিলিয়ন ইউরোর মতো খরচ করতে হয়। আর এই অর্থের পরিমাণ গোপন রাখার ফলে বিশাল অঙ্ক হাতছাড়া হয় ডিআইএসের। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি নেইমার ও তার বাবার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে। ২০১৮ সালে সেই মামলাতেই প্রথমে দুই বছরের শাস্তির কথা উঠলেও তা বেড়ে ছয় বছর হতে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছিল।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, স্পেনের ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ নেইমারকে দুই বছরের জেল সহ ১০ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক জরিমানা দাবি করেছে। আগামী ১৭ অক্টোবর এই মামলার শুনানি হবে বার্সেলোনার আদালতে।
এদিকে ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি ডিআইএস নেইমারের পাঁচ বছরের সাজার আবেদন করেছে। সেই সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন আর্থিক জরিমানা দাবি করেছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে নেইমারের বাবাকে দুই বছর এবং তার মাকে এক বছর জেলের শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে জানা গেছে।