কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে বাকি আছে আর ১১০ দিন। এবারই শেষবারের মতো ৩২ দল অংশ নিচ্ছে ফুটবলের সর্বোচ্চ এ আসরে। যেখানে এশিয়ার দেশের সংখ্যা ৬টি। স্বাগতিক কাতার ছাড়াও রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া ও ইরান। আগামী আসর যেটি যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাতে অনুষ্ঠিত হবে সেখানে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে ৪৮টি দেশ। যেখানে এশিয়া থেকে সর্বোচ্চ ৮টি দেশ খেলার সুযোগ পাবে বলে নিশ্চিত করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। প্লে-অফে জিততে পারলে আরও একটি দেশের সামনে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ থাকছে। অর্থাৎ তখন এশিয়ার দেশের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯টিতে।
সম্প্রতি এএফসি-র পক্ষ থেকে যোগ্যতা অর্জনের ফরম্যাট তৈরি করা হয়েছে। এএফসি-র অধীনে মোট ৪৭টি দেশ রয়েছে। যেখানে ক্রমতালিকায় ২৬ থেকে ৪৭ নম্বরে থাকা দেশগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে, যা হবে যোগ্যতা অর্জনের প্রথম রাউন্ড। সেখান থেকে ১১টি দল যোগ দেবে ক্রমতালিকায় থাকায় প্রথম ২৫ জনের সঙ্গে। মোট ৩৬টি দেশকে ন’টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে চারটি করে দেশ।
প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রথম দু’টি দেশ যাবে যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে। ১৮টি দেশকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ছ’টি দেশ। একে অপরের বিরুদ্ধে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলবে তারা। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষে থাকা দু’টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ মোট ছ’টি দেশের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন হয়ে যাচ্ছে।
বাকি থাকছে দু’টি জায়গা। এ ক্ষেত্রে, আগের রাউন্ডে তিনটি গ্রুপের তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানাধিকারী দলগুলি প্লে-অফ খেলবে। সেখানে ছ’টি দেশকে নিয়ে দু’টি গ্রুপ তৈরি হবে। গ্রুপের বিজয়ী দুই দেশ সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে। গ্রুপের দু’টি রানার্স-আপ দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে প্লে-অফ খেলবে। যে জিতবে, তারা অন্য কোনও মহাদেশের একটি দলের বিরুদ্ধে প্লে-অফ খেলবে। জয়ী দল বিশ্বকাপে যাবে।