ফেনীর সোনাগাজীর নবাবপুর এলাকার আলোচিত কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আসামি মোহাম্মদ ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম ও আবুল কাশেমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। একইসাথে তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় অপর আসামি ওমর ফারুককে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ওসমান হায়দার এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ১৫ মে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুরের একই এলাকার রসুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক, আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও আবদুর রশিদের ছেলে আবুল কাশেমসহ অজ্ঞাত এক ব্যক্তি রাত দুটার সময় ঘরে ঢুকে সংখ্যালঘু কিশোরীর মাকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বেঁধে রেখে মায়ের সামনে মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন কিশোরীর মা কৃষ্ণাবালা দাস বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আদালতে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আসামি মোহাম্মদ ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম ও আবুল কাশেমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাসহ ২ লাখ টাকার অর্থদণ্ড করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে মোহাম্মদ ফারুক ছাড়া অন্য আসামিরা পলাতক ছিলেন।