নিজের ফেসবুক পাতায় বিদ্যা সিনহা মিমের স্বামী সনি পোদ্দার লিখেছেন বিয়ের আগে পরাণ সিনেমা দেখলে তিনি অনন্যা চরিত্রটির সঙ্গে সম্পর্ক করার আগে কিছুটা হলেও ভেবে দেখতেন! অর্থাৎ তিনি হয়তো সাহস করতেন না মিমকে বিয়ে করার! স্ট্যাটাসটির সবশেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, ‘আমি ভাগ্যবান, পর্দার অনন্যার সাথে বাস্তবের বিদ্যা সিনহা মিমের কোন মিল নেই!’
‘অনন্যা’ পড়াশোনায় একেবারেই অমনোযোগী একটা মেয়ে। পরীক্ষায় নিয়মিত ফেল করা তার জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই বাবা বলে দেন, পরেরবার ফেল করলে বিয়ে দিয়ে দেবেন। অনন্যাকে বিরক্ত করে এলাকার বখাটে ‘রোমান’। ডেইজি সরকারের ছত্রছায়ায় রোমান হয়ে উঠেছে এলাকার ত্রাস, পুলিশও তার গায়ে হাত দেয় না। পাশ করে মুখ দেখাতে অনন্যা বাধ্য হয় পরীক্ষায় রোমানের সাহায্য নেয় পাশ করতে। পরীক্ষায় পাশ করে রোমানের সঙ্গে প্রেমে মশগুল হওয়া অনন্যার জীবনে কয়েক বছরেই ঘটে কিছু অপ্রত্যাশিত, হৃদয় বিদারক ঘটনা। সিনেমার শুরুতে আত্মহত্যার চেষ্টা করা অনন্যা একসময় পুলিশকে বলতে থাকে রোমানের সঙ্গে জটিল এক সম্পর্কের গল্প যেখানে আছে অন্য আরেক পুরুষ ‘সিফাত’-এর উপস্থিতি।
রায়হান রাফি পরিচালিত পরাণ সিনেমাটি রোমান্টিক একটি চলচ্চিত্র। লাইভ টেকনোলজিসের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা সাহা মীম, শরিফুল রাজ ও ইয়াশ রোহান। সত্য ঘটনা অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
চলচ্চিত্রটি দেখার পর বিদ্যা সিনহা মিমের স্বামী সনি পোদ্দার তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি যখন মিমের বয়ফ্রেন্ড ছিলাম, তখন সিনেমাহলে একা বসেই তার সিনেমা উপভোগ করেছি। তার অভিনীত আমার দেখা প্রথম সিনেমার নাম সাপলুডু। বিয়ের আগে দুজনে একসাথে বসে মিমের কোন সিনেমা দেখা হয়নি।
বিয়ের পর মিমের অভিনীত প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমা পরাণ। আজকে ব্লকবাস্টার সিনেমায় এই প্রথম দুজন একত্রে বসে মিমের সিনেমা দেখলাম। সাথে দেখলাম দর্শকদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস! পরাণ আমার পরাণে জায়গা করে নিয়েছে, আর মিম তো সবসময়ই পরাণেই আছে!
বিদ্যা সিনহা মিমের স্বামী হিসেবে আমি গর্বিত।
তবে বিয়ের আগে পরাণ সিনেমাটা দেখলে, অনন্যা চরিত্রটির সাথে সম্পর্ক করার আগে কিছুটা হলেও ভেবে দেখতাম!
আমি ভাগ্যবান, পর্দার অনন্যার সাথে বাস্তবের বিদ্যা সিনহা মিমের কোন মিল নেই!’