শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

নায়ক নিজেই ভ্যানে পোস্টার নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ২২, ২০২২

ইউটিউবে ১১০টির মতো ছোট ছোট নাটকে অভিনয় করেছেন রাসেল মিয়া। তার দাবী, গত ৩ বছরে তিনি এসব কাজ করে অনেক মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন। সেই পরিচিতি কাজে লাগাতে এবারই প্রথম সিনেমায় অভিনয় করলেন।

রকিবুল আলম রকিব পরিচালিত রাসেল মিয়ার প্রথম সিনেমা ‘ভাইয়ারে’। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর। মুক্তির আগে নায়ক রাসেল মিয়া তার সিনেমার ভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছেন। সিনেমার পোস্টার ভ্যানে লাগিয়ে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। রাসেলের মতে, এর ফলে তিনি সাধারণ দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তাকে দেখে সাধারণ মানুষরা আগ্রহ নিয়ে জড়ো হচ্ছে। সেই সময়ে রাসেল মিয়া তার ছবির খবর দিচ্ছেন।

গত ৪ দিনে রাজধানীর মগবাজার, বাড্ডা, আফতাব নগর, যাত্রাবাড়ি, নাখালপাড়া এলাকায় ভ্যান চালক হয়ে পোস্টার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাসেল।

রোববার বিকেলে রাসেল মিয়া মুঠোফোনে বলছিলেন, সিনেমা মুক্তির আগ পর্যন্ত এই প্রচারণা চালিয়ে যাব। শুধু ঢাকাতেই এভাবে প্রচারণা করবো। ঢাকার বাইরে গেলে সবকিছু ব্যালেন্স করতে পারবো না।

‘ভ্যানচালক সেজে মানুষের কাছে গেলে তারা আমার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। আমি নিজেও সবসময় খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। সিনেমা রিলিজ হবে বসে বসে ফেসবুকে প্রচার করবো সেটা আমি চাই না। আমি চাই, মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের কাছে গিয়ে ছবির ব্যাপারে জানাতে। সেটাই করে যাচ্ছি। যেখানেই যাচ্ছি ক্রাউড সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, সহজে এর চেয়ে বড় প্রচারণা আর হতে পারে না।’

কোমরে গামছা বেঁধে, লুঙ্গি পরে ভ্যান চালিয়ে মানুষের কাছে ছুটে যেতে মোটেও লজ্জা পাচ্ছেন না রাসেল মিয়া। তিনি বলেন, মানুষ খুব বেশি খুশি হচ্ছেন। মানুষের এই খুশি হওয়া এবং ছবি নিয়ে আগ্রহ বেড়ে যাওয়াটা আমি উপভোগ করছি। আরও বলেন, ছবির প্রচারণায় ৫-১০ লাখ টাকা চলে যায়। কিন্তু ‘ভাইয়ারে’ ছবির প্রযোজক তার এতো সামর্থ্য নেই। তাই ভেবেছি, সপ্তাহ দুয়েক যদি নিজেই এভাবে শ্রম দেই তাহলে ভালো ফিডব্যাক পাব।

রাসেল মিয়াকে রাস্তায় ভ্যানচালক হিসবে রাস্তায় প্রচারণা করতে দেখা গেলেও ছবির অন্যান্য শিল্পীদের দেখা যায়নি। তিনি বলেন, এগুলো তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। জোর করে তাদের আনতে পারবো না। তবে আমি আমার কাজ করে যাবো। কারণ এতে আমি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার অনেককিছু এই ছবির উপর নির্ভর করছে। ট্রেলার প্রকাশের পর ভালো সাড়া পেয়েছি। আশা করি হলে ছবি দেখেও মানুষ উপভোগ করবে।

রাসেল মিয়া জানান, ‘ভাইয়ারে’ বহু বিবাহের গল্প দিয়ে শুরু হয়ে মাদকের কুফলের বিভিন্ন দিক নিয়ে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, আনন্দ ও মধুমিতা হলে ট্রেলার চলছে। হল মালিক ও দর্শকরা প্রশংসা করছেন। খুবই ইতিবাচক সাপোর্ট পাচ্ছি। তাদের উৎসাহ নিয়ে প্রচারণার মাঠে নেমে পড়েছি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার পরিবেশনায় শুরুতে ২৫-৩০ সিনেমা হলে মুক্তি দিতে চাইছি। দর্শক যদি সিনেমাটি গ্রহণ করে তাহলে পরের সপ্তাহে হল বৃদ্ধি করবো।

তিনি বলেন, প্রথম সিনেমায় যদি দর্শক আমাকে পছন্দ করেন তারা চাইলে সামনে সিনেমা করবো। নইলে সেভাবে ইউটিউবে কাজ করছি সেভাবেই করবো। ইতোমধ্যে দুজন প্রযোজক আমাকে নিয়ে নতুন কাজ করতে চেয়েছেন, টাকাও দিতে চেয়েছেন। কিন্তু আমি না করেছি। প্রথমটি মুক্তির উপর সবকিছু নির্ভর করবে। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শক বিচার করবেন। তাদের মতামত জানার অপেক্ষায় আছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ