কৃষক মহাসমাবেশকে ঘিরে আবারও থমথমে ভারতের রাজধানী দিল্লি। ঐতিহাসিক যন্তরমন্তর অভিমুখী কৃষকদের ঠেকাতে এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নয়াদিল্লীর প্রবেশপথগুলোতে ব্যারিকেড দিয়ে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ।
দিল্লি ঘিরে টিকরি, সিংঘু, গাজীপুর সীমান্তে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যারিকেড দেয়া হয় সিমেন্টের ব্লক দিয়ে। ট্রেন ও মেট্রো সার্ভিসের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে দিল্লির প্রশাসন।
কৃষক, যুবক ও শ্রমিকদের অধিকার হরণ ও বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার (২২ আগস্ট) দিল্লির যন্তরমন্তর ময়দানে মহাসমাবেশের ডাক দেয় কৃষকদের ৪০টি সংগঠনের জোট-সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে গত ১৮ আগস্ট উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে ৭৫ ঘন্টার অবস্থান ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলো এই সংগঠনটি। ৩১ জুলাই রেল অবরোধ করা হয় পাঞ্জাবের ভাল্লা, ভাটিন্ডা, আম্বালা অঞ্চলে। বাড়তি সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়নের নেতা রেকেশ টিকায়েতকে আটক করে পুলিশ।