থাইরয়েডের সমস্যায় অনেক নারী-পুরুষই ভোগেন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এ রোগ দেখা দেয়। থাইরয়েড নামক একটি ছোট্ট গ্ল্যান্ড থাকে গলায়। যখন এই গ্ল্যান্ড খুব বেশি বা কম পরিমাণে কাজ করতে শুরু করে তখনই এই রোগ দেখা দেয়।
সঠিক উপায়ে জীবনধারণ করলে সহজেই বশে আনা যায় থাইরয়েড। হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে শরীরের থাইরয়েড গ্ল্যান্ড পরিমাণমতো হরমোন ক্ষরণ করে না।
তাই চুল পড়ে যায়, হৃদস্পন্দন কমে যায়, বিপাক হার কমে যাওয়ায় ওজন বেড়ে যায়। তাই থাইরয়েড হলে খাওয়ার রুটিনে পরিবর্তন আনা জরুরি। একইসঙ্গে জানা উচিত থাইরয়েড থাকলে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে-
>> সয়াবিন বা সয়াবিন জাত সব ধরনের খাবার বাদ দেওয়া উচিত। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, সয়াবিনজাতীয় খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো কাজ না। তাই সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার মেপে খাওয়াই ভাল।
>> ব্রোকোলি, বাঁধাকপি ও ফুলকপি খাওয়া যাবে না থাইরয়েডের সমস্যা হলে। অনেকেই ওজন ঝরাতে ফুলকপি বা কেল পাতার মতো শাক-সবজি রাখেন ডায়েটে। তবে থাইরয়েড থাকলে এগুলো খাবেন না।
>> থাইরয়েড থাকলে কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। অত্যাধিক ক্যাফেইনে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়তে পারে। তবে একদম ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সকালে খেতে পারেন। তবে একবার খাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ভালো।
>> মিষ্টিজাতীয় যে কোনো খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিন। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
>> প্যাকটজাত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। এসব খাবারে লবণ, চিনির ও তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। যা ওজন দ্রুত বাড়াতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রসেস করার খাবারও খাবেন না।
>> ফাইবারজাতীয় খাবার শরীরের জন্য খুবই ভালো। এমনকি ওজন কমাতেও সাহায্য করে ফাইবার। তবে জানেন কি, থাইরয়েড হলে অত্যাধিক ফাইবারজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। আমেরিকানরা সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ৫০ বছরের আগ পর্যন্ত সব প্রাপ্তবয়স্করা দৈনিক ২৫-৩৮ গ্রামের মধ্যে ফাইবার গ্রহণ করে।
>> বেশিরভাগ চিকিৎসকের মতে, দুগ্ধজাত খাবার শরীরে হরমোনের তারতম্য আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই দুধ, মাখন, চিজের মতো খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
তবে টকদই হজমের জন্য অনেক উপকারি। তবুও টকদই খাওয়া যাবে কি না, তা চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।