এক গুচ্ছ ছবি তাঁর ঝুলিতে। প্রায় প্রতিটি ছবিতেই সামাজির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন অক্ষয়। ছবির পর এ বার কি রাজনীতির দুনিয়ায় নায়ক ‘খিলাড়ি’?
খিলাড়ির সময়টা খারাপ যাচ্ছে ভেবে অনেকে অনুমান করেছিলেন, এবার হয়তো সিনেমার পাশাপাশি রাজনীতিতেও পা রাখবেন অক্ষয়। কিন্তু সে গুড়ে বালি। ছবি যতই ফ্লপ হোক না কেন, যতই ট্রোল হোক না কেন, অক্ষয় থাকবেন বলিউডেই।
অক্ষয়ের হাতে আপাতত কয়েকটি ছবি রয়েছে। শেষ ছবি ‘বচ্চন পাণ্ডে’ ফ্লপ করেছে। আগামীতে রাম সেতু ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। এছাড়াও রঞ্জিৎ তিওয়ারির সিন্ডারেলা ছবিতেও অভিনয় করছেন অক্ষয় কুমার।
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম অক্ষয় কুমার। নিজের প্রায় প্রতিটি ছবির মাধ্যমে সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিনেতা। ‘প্যাডম্যান’, ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’, ‘এয়ারলিফ্ট’… এমন বহু ছবি তাঁর ঝুলিতে। প্রতিটি ছবিতেই দর্শককে কিছু না কিছু বার্তা দিতে চেয়েছেন নায়ক।
সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্নের। তবে কি রাজনীতিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক নায়ক? অভিনেতাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এ দেশে নতুন কিছু নয়। শত্রুঘ্ন থেকে কমল হাসন, হেমা মালিনী, জয়া বচ্চন… রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। এ বার কি সেই তালিকায় যোগ হতে চলেছে অক্ষয়ের নাম? এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে বার বার।
মুম্বইয়ে একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এই প্রশ্নেরই মুখোমুখি হতে হয় অভিনেতাকে। ‘খিলাড়ি’ কিন্তু এই বাউন্সার মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
অক্ষয়ের দাবি, “আমি আমার ছবির জগতে খুব খুশি। অভিনয় নিয়ে আনন্দে আছি। আমি চেষ্টা করি আমার ছবির মাধ্যমে দর্শককে কিছু সামাজিক বার্তা দিতে। এমন ছবিই প্রযোজনা করতে চাই। এখনও পর্যন্ত শ’দেড়েক ছবি করেছি। প্রায় প্রতিটি ছবিতেই কোনও না কোনও বার্তা ছিল।”
অক্ষয়ের হাতে এখন এক গুচ্ছ ছবি। ‘রক্ষাবন্ধন’ ছাড়াও রয়েছে ছবির লম্বা তালিকা। ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে চারটি ছবির। ‘সেলফি’, ‘বড়ে মিঁয়া ছোটে মিঁয়া’, ‘মিশন সিন্ড্রেলা’, ‘হেরা ফেরি ৩’।আর কিছু দিন পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘রক্ষাবন্ধন’।