আমরা সবাই কমবেশি চা খাই। তবে আমরা যদি চায়ের উপাদান ও সেই উপাদানগুলোর উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হই, তাহলে শরীরের অনেক রোগ ও সমস্যার নিরাময় হতে পারে।
বৃদ্ধি পেতে পারে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও।
কিছু মশলা তথা উপাদান রয়েছে, যা চায়ে মিশিয়ে পান করলে শরীরের বহু রোগ দূর হতে পারে। এমনই এক মশলা হল লবঙ্গ।
যদি আপনি নিয়ম মেনে লবঙ্গ চা পান করেন তাহলে আপনার অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পেতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কিন্তু কেন পান করবেন লবঙ্গ চা? সেক্ষেত্রে জানতে হবে লবঙ্গের উপকারিতা।
লবঙ্গের উপকারিতা-
লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরপত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
লবঙ্গ থেকে যে তেল পাওয়া যায়, তাতে ইউজেনল নামে একপ্রকার উপাদান থাকে। এটি দাঁতে ব্যথা, মাড়িতে ঘা বা আলসার জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
লবঙ্গ অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ সম্পন্ন। এরমধ্যে থাকা উপাদানগুলো গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি কিংবা মাথা ব্যথা কমাতে দারুণ কাজ দেয়।
লবঙ্গে থাকা ইউজেনল হজম প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে। আর যদি খাবার ভালোভাবে হজম হয়, তাহলে শরীরও সুস্থ থাকে। হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। তবে শুধু হজম নয় স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিপাক ক্রিয়াতেও সাহায্য করে এই ইউজেনল।
রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে লবঙ্গের ভূমিকা অপরিসীম।
শরীরে ব্লাডসুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে লবঙ্গ। জার্নাল ন্যাচারাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষাতেও এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
লবঙ্গের উপকারিতা পেতে হলে এটিকে চায়ে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে বানাবেন লবঙ্গের চা?
জেনে নিন সহজ উপায়-
প্রথমে এক চামচ লবঙ্গ চূর্ণ নিন। তারপর এক কাপ পানি নিয়ে তাতে ওই লবঙ্গচূর্ণ মিশিয়ে ফোটাতে শুরু করুন। এরপর তিন-চার মিনিট রাখুন ও ঠাণ্ডা করুন। যদি চান তাহলে এ লবঙ্গ চায়ে এক চামচ মধুও দিতে পারেন। প্রতিদিন সকালে কিংবা বিকেলে এই চা পান করুন। তবে মাথায় রাখবেন লবঙ্গ চা পান করার মাত্রা যেন বেড়ে না যায়। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় যে কোনো কিছুই আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়ম মেনে চা পান করুন।