আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য করতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমএর পরিসর আরও বাড়ানোর পক্ষে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ইসির দায়িত্বশীল নিরপেক্ষ আচরণ, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ইভিএমে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বক্তব্য লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। আগেও আমরা ইসিকে এসে বলেছিলাম। এখানে রাখঢাক করার কিছু নেই। আগামী নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যহারে ইভিএম বৃদ্ধি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়া তিনি বিতর্কিত কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার নিয়োগসহ একগুচ্ছ দাবির কথা বলেন।
এর আগে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বের প্রতিনিধি দলটি ইসিতে এসে পৌঁছায়। এসময় কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলকে শুভেচ্ছা জানান।
যেসব দলকে আজকের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।