ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ ও আমেরিকা। এতে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক সংকটে পড়েছে দেশটি। তবে পাল্টা জবাবে রাশিয়া ইউরোপের কিছু দেশের সঙ্গে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম ছোট করে ফেলে। এতে অর্থনৈতিক সংকট আরো ঘনিভূত হয়। এমন পরিস্থিতিতে ১৯১৮ সালের পর এই প্রথম রাশিয়াকে ঋণ খেলাপির মধ্যে পড়তে হলো। খবর ব্লুমবার্গের।
ব্লুমবার্গেল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ মের পর ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত ৩০ দিন সময় দেওয়া হলেও রোববার দেশটি তা করতে ব্যর্থ হয়।
ঋণের ১০০ মিলিয়ন অর্থ রাশিয়ার হাতে রয়েছে এবং তারা দিতেও চায়, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের অর্থ পরিশোধ অসম্ভব করে তুলেছে।
এমন ঘটনা রাশিয়ার মর্যাদার উপর বড় আঘাত। দেশটির অর্থমন্ত্রী এ পরিস্থিতিকে ‘একটি প্রহসন’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এর আগে বলশেভিক বিপ্লবের সময় নতুন কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেলিন রাশিয়ার ঋণ পরিশোধ করতে অস্বীকার করেছিলেন।
যে কোনো ধরনের ঋণ পরিশোধে রাশিয়া সর্বশেষ খেলাপি হয় ১৯৯৮ সালে। বরিস ইয়েলৎসিনের বিশৃঙ্খল পতনের সময় রুবলের সংকট দেখা দিলে অভ্যন্তরীণ বন্ডগুলোতে অর্থ প্রদান রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল মস্কো। তবে বিদেশি ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি। এ সময় দেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় রাশিয়া।