হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসি নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন। দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ জানান, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর রাতে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের বেসরকারি বাসভবনে হামলা চালিয়ে তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হামলায় গুরুতর আহত ফার্স্টলেডিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমেরিকার দরিদ্রতম দেশ হাইতি। ২০১৮ সালে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। পরে এক ডিক্রি জারি করে দেশে শাসন চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসি। তবে কবে এর মেয়াদ শেষ হবে তা নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক চলছে।
অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট খুন হওয়ার পর তিনিই এখন দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং জাতির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ তবে প্রেসিডেন্টের হত্যাকাণ্ডের পর রাজধানী পোর্ট-আউ-প্রিন্সের বিভিন্ন স্থান থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
মাইকেল মার্টেলি পদত্যাগ করার পর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ৫৩ বছর বয়সী জোভেনেল মোইসি। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটিতে সরকারবিরোধী বড় বিক্ষোভও হয়েছে। এ বছরের শুরুতে তার পদত্যাগের দাবিতে দেশটির রাজধানীসহ বড় বড় শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ জানান, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত একটার দিকে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে প্রবেশ করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা। তাদের কেউ কেউ স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেছে। তাদের চালানো গুলিতে মৃত্যু হয় প্রেসিডেন্টের। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী মার্টিন মোইসি। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থা সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।
প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসি খুন হওয়ার পর অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ জানিয়েছেন, কাপুরুষের মতো প্রেসিডেন্টকে খুন করা গেলেও তার আদর্শকে খুন করতে পারবে না। আজ বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।