শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন

‘নির্বাচনইতো হবে না যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে’

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ২২, ২০২২

যারা খালেদা জিয়াকে পদ্মায় চুবিয়ে মারতে চায়, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদকে ব্রিজ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করতে চায়, তাদের নিমন্ত্রণে বিএনপির কোনো নেতা যেতে পারে না এমন মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২২ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন দলটির মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বিএনপির কোনো নেতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনইতো হবে না যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে। তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার পরেই নির্বাচন হবে। বিএনপিতে কোনো নেতৃত্ব শূন্যতা নেই বরং তাদের নেতৃত্ব সংকট আছে, হাসিনা ছাড়া সে দলে কেউ নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, এই বলে তার স্বভাবসুলভ মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৪ সালে যে সমীক্ষা হয়েছে, সেটির ধারাবাহিকতায়ই আজকের পদ্মা সেতু।

মির্জা ফখরুলের দাবি, পদ্মা সেতু নিয়ে সমস্যা হয়েছে সেতুর কাজ শুরুর পরে যখন দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে গেলো তখন। অথচ দায়ী করা হয় বিএনপি এবং ড. ইউনুসকে। অথচ বিশ্বব্যাংক তাদের পদক্ষেপ নেয়ার পরেই বিএনপি জানতে পেরেছে যে দুর্নীতি হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে বন্যা দেখতে গেছেন, সিলেট সার্কিট হাউসে গেছেন অথচ কিছুটা ভেতরে গিয়ে সরাসরি বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেননি। তিনি সিলেট মেয়রের কাছে জানতে চান, বিএনপি কি করেছে। এটা বিএনপির দায়িত্ব নয়। তবুও বিএনপি তার সাধ্যমতো ত্রাণ বিতরণ করে চলেছে।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিজেরইতো কোনো নৌকা নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রথমদিকে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে নৌকার অভাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব ২০ তারিখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা সম্পর্কে জানান। সভায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির কামনা করা হয়। পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে বন্যা পূর্বাভাস প্রদান থেকে শুরু করে ত্রাণ বিতরণসহ সব কিছুতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আয়োজনে মনোযোগী হওয়ায় বন্যাক্রান্তদের হাহাকার সরকারে কানে যায়নি বলে মনে করে সভা। সরকারের উদাসীনতা ও নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে অভিন্ন নদী নিয়ে কোনো ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ