অ্যান্টিগা টেস্টে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে পুরোপুরি ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ দল। শূণ্য হাতে প্রথম ইনিংসে ৬ ব্যাটারকে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। এর আগেও শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন লজ্জার রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের।
ইন্ডিজদের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০৩ রানে গুঁটিয়ে যায় টাইগাররা। কাপ্তান সাকিব আল হাসানের ৫১ রান বাদে বাকি ১০ জন মিলে করেছেন মাত্র ৫২ রান। এমন বাজে ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা নেই সয়ং সাকিবের কাছে। তিনি জানান, পুরোপুরি দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদেরই। তাদের কেউ মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন ব্যাখ্যা নেই। আমি জানি না অন্য কারও কাছে আছে কিনা। সাধারণত যেটি হয়, কোচ-অধিনায়কের কাজটা সহজ। ধরুণ কেউ পারফরম করল না, তাকে বাদ দিয়ে দিই। সবচেয়ে সহজ কাজ কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের। তুমি পারফরম করছ না, বাদ দিয়ে দিলাম।
এদিকে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ইনফর্ম ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। রানের খাতায় খুলতে পারেননি তিনি। অফ ফর্মে থাকা নাজমুল হাসান শান্তরও একই পরিণতি হয়।ঘাড় থেকে চাপ কমাতে নেতৃত্ব ছাড়া মুমিনুল হকও বৃত্ত ভাঙতে পারেননি। দুজনই ফেরেন খালি হাতে।
তামিম ইকবাল অবশ্য সতর্ক ছিলেন। তবে হঠাৎ খেই হারান তিনি। ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। লিটন দাসও শুরুটা ভালো করেছিলেন। তবে ধৈর্যের কেলায় হেরে যান তিনি। বিদায় ব্যক্তিগত ১২ রানে। এরপর টেস্টে ডাক পাওয়া নুরুল হাসান সোহানও শূন্য রানে আউট হন।
তাতে দলীয় ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দলের চরম বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন সাকিব।তার সৌজন্যে ৬ উইকেট হারিয়েই ৭৬ রান নিয়ে মধ্যহ্নভোজে যায় টাইগাররা। তবে ফিরেই মেহেদী হাসান মিরাজকে হারায় তারা।
স্বীকৃত ব্যাটার ফেরায় হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন সাকিব। এতে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন তিনি। তবে এরপরই থামেন বাঁহাতি ব্যাটার। ৬৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সেই রেশ না কাটতেই শূন্য রানে আউট হন মোস্তাফিজুর রহমান ও খালেদ আমহেদ। শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এবাদত হোসেন অপরাজিত থাকেন ৩ রানে।
ক্যারিবীয়দের হয়ে জেইডেন সিলেস ও আলজারি জোসেফ নেন ৩টি করে উইকেট। আর কাইল মায়ার্রস ও কেমার রোচ শিকার করেন ২টি করে উইকেট। পরে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১০ রান তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা।