কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষা ও খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন বাজেটে ভর্তুকি বাড়বে। কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সার, বীজসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ানো হবে না। কৃষি খাতের পাশাপাশি পোল্ট্রি ও মৎস্য খামারে করের পরিমাণ কমানো ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা।
করোনা অতিমারির পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী দাম বাড়ছে কৃষি উপকরণের। বিশ্ববাজারে সারের দাম প্রায় ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটে কৃষি খাতের জন্য স্বস্তির খবর থাকবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। সার, বীজে ভর্তুকিসহ কৃষকের স্বার্থসুরক্ষা ও খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়বে।
এছাড়া দেশের পোল্ট্রি ও মৎস্য খামারে একক ও নতুন কর ব্যবস্থাপনা চালু করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এতে এই দুই খাতে বাড়বে করের হার। বার্ষিক ১০ লাখ টাকার বেশি আয়ের ওপর ৫ শতাংশ আর ২০ লাখ টাকার বেশি আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব থাকতে পারে আসছে বাজেটে।
বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের চড়া বাজারে নতুন এই কর ব্যবস্থাপনা দেশের বাজারে সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ রঞ্জন ও সিনিয়র সহসভাপতি মো. আহসানুজ্জামান।
বাজেটে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে রাখা এবং পোল্ট্রি খাতে ভর্তুকি দেয়ার পরামর্শ দেন কৃষি অর্থনীতিবিদ এ এম এম সালেহ। কৃষিখাতে চলতি অর্থবছরে সরকার সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছিলো।