কয়েকদিনের ভারি বর্ষণের পর বিরতি দিয়ে আবারও টানা বর্ষণের আভাস মিলেছে, আর তা উত্তরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কাও জাগিয়ে তুলেছে। এছাড়া ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এরই মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হঠাৎ প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। অধিক বন্যাপ্রবণ তিন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল বাড়ছে, যা আগামী বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, অব্যাহত থাকতে পারে সোমবার পর্যন্ত।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা সোমবার নাগাদ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের স্থানসমূহে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। এর ফলে এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বেড়ে কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
ব্ৰহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৯ জুলাই নাগাদ বাহাদুরাবাদ স্টেশনে যমুনা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে। আগামী ৭ দিনে আপাতত গঙ্গা নদীর অববাহিকায় বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই।
ঢাকার চারপাশের নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। পারে। ঢাকার চারপাশের নদীর অববাহিকায় বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই।
পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে রোববার (৪ জুলাই) পানির সমতল বেড়েছে ৫৮টিতে। কমেছে ৩৮টিতে। পানির সমতল অপরিবর্তিত আছে চারটিতে। একটি পয়েন্টের পানির সমতলের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়নি।