একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রানের লিড পেয়েছিল টাইগাররা। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার বোর্ডে দরকার ছিল মাত্র ২৯ রান। কাজটা তাদের জন্য মামুলি বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই জয়ের লক্ষ্যে নেমেই ৩ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ১-০ তে জিতে যায় লঙ্কানরা।
এদিকে ২২ গজে সাকিব-লিটন জুটি খুব দারুণ ভাবেই শুরু করেছিলেন তাদের ইনিংস। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর ভেঙ্গে যায় এ জুটি। লাঞ্চের পর নিজের খেলা দ্বিতীয় বলে ফিফটি তুলে নেন লিটন দাস। তবে ফিফটির পর টিকতে পারেননি আগের ম্যাচের এই সেঞ্চুরিয়ান। জুটির সেঞ্চুরি হওয়ার পরেই ফার্নান্দোকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন(৫২)। এদিকে সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকলেন না সাকিবও। আউট হলেন ৭২ বলে ৫৮ রান করে।
সাকিব সাজঘরে ফেরার পর মোসাদ্দেকের নতুন সঙ্গী হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তাইজুল। কিন্তু সেই জুটিও বেশিক্ষন টিকলো না। মোসাদ্দেককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রমেশ মেন্ডিস। প্রথম ইনিংসে শূন্যের পর এই ইনিংসে সাত রান করেছেন তিনি। পরের ওভারেই পরপর দুই বলে তাইজুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদকে আউট করে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন আসিথা। এ নিয়ে মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ২৯/০ (৩ ওভার)
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১৬৯/১০ (৫৫.৩ ওভার)
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৫০৬/১০ (১৬৫.১ ওভার); লিড: ১৪১ রান
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ- ৩৬৫/১০ (১১৬.২ ওভার) মুশফিক ১৭৫*।