যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি বিদ্যালয়ে বন্দুক হামলার কয়েক মিনিট আগে হামলার পরিকল্পনার কথা এক মেয়েকে জানিয়েছিলেন হামলাকারী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ওই মেয়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের বাসিন্দা।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বরাতে বিবিসি বলছে, দাদির সঙ্গে ফোন বিল নিয়ে তর্কের জেরে গুলি চালায় সালভাদর রামোস। দাদিকে গুলি চালানোর আগে ও পরে ওই মেয়েকে খুদেবার্তা পাঠান তিনি। দাদিকে গুলি করার পর ওই মেয়েকে সালভাদর রামোস লেখেন, ‘আমি এইমাত্র আমার দাদির মাথায় গুলি চালিয়েছি।’ কিছুক্ষণ পর অন্য আরেকটি খুদেবার্তায় বন্দুকধারী লেখেন, ‘আমি স্কুলে গুলি চালাতে যাচ্ছি।’ টেক্সাসের বিদ্যালয়ে হামলা চালানোর ১১ মিনিট আগে সর্বশেষ খুদেবার্তাটি পাঠানো হয়।
ওই মেয়ে সিএনএনকে বলেন, ‘সালভাদর রামোসের সঙ্গে প্রতিদিন আমার কথা হতো। লাইভস্ট্রিমিং অ্যাপ ‘ইউবো’ এবং গেমিং অ্যাপ ‘প্লেটো’ এর মাধ্যমেও যোগাযোগ হতো।’ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এআর-১৫ রাইফেল নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে চতুর্থ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালান সালভাদর রামোস।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে বৈধ পন্থায় দুটি রাইফেল এবং ৩৭৫ রাউন্ড গোলাবারুদ কিনেছিলেন রামোস। মঙ্গলবার টেক্সাসের একটি স্কুলে ঢুকে বন্দুকধারী সালভাদর রামোস নির্বিচারে গুলি চালালে ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহত হন।