বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ফের মিয়ানমারের জান্তা সরকার

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
আপডেট : জুলাই ৩, ২০২১

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকায় দেশটির ৪ মন্ত্রীসহ ২০ ব্যক্তির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রপন্থী অং সান সু চি সরকারকে উৎখাত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে নেয় জান্তা সরকার। এর জেরে শুক্রবার মার্কিন অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিলো।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সহিংস ও নৃশংস কর্মকাণ্ড চালানোর ঘটনায় তাদের ওপর নতুন অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারের সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়নি। দেশটির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সামরিক সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো’।

এর আগে অভ্যুথানের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাসহ একাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন- ইইউ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। এবার নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জান্তা সরকার অনেকটা চাপে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় মিয়ানমারের বিনিয়োগ মন্ত্রী অং নাইং, শ্রম ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইন্ট কিয়াং, তথ্যমন্ত্রী চিট নাইং, সমাজকল্যাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী থেট খাইনের ওপর অবরোধ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের তিন সদস্যকেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে কর্মকর্তাদের স্ত্রী সন্তানসহ আরও ১৫ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের শাসন নিজের হাতে নেয় টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনা। স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি-সহ আটক করা হয় নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। এরপর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়ে রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ। পাল্টা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। দিনে দিনে গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন হাজারো মানুষ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ