ক্রিকেট সমাজের অভিজাত প্রতিনিধি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ সিরিজের প্রসঙ্গ আসলেই বেঁকে বসে অজিরা। বাণিজ্যিক স্বার্থ বড় করে দেখে তারা। টাইগারদের যেমন ঘরের মাঠে আমন্ত্রণ জানাতে চায় না, তেমনি অজিরা সহসা আসতেও চায় না এ দেশে। নিরাপত্তা ইস্যুতে টালবাহানা তাদের নিত্য সঙ্গী। এবার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মাথায় শর্তের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে তারা।
অজিদের সব শর্তই মেনে নিয়েছে বিসিবি। স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিজেদের সর্বোচ্চ নিঙড়ে দিয়েছে টাইগার বোর্ড। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া দাবি মানতে গিয়ে বাড়তি অর্থ খরচ হচ্ছে বিসিবির। একাধিক কারণে আলোচনায় অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর। এমন কী পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ চলাকালীন অস্ট্রেলিয়া দল মাঠে প্রবেশ করলে স্টেডিয়াম এলাকায় জনসাধারণ চলাচলও থাকবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।
নিরাপত্তা ইস্যুতে মিরপুর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, আমরা শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে। যেহেতু এর আগে নিরাপত্তা ইস্যুতে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ বাতিল করেছে। এখন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আছে অস্ট্রেলিয়ান দল। সেখান থেকে মাঠে আসাযাওয়ায় পথে থাকবে জিরো ট্রাফিক।
সঙ্গে যোগ করেন তিনি, পোশাক, সাদা পোশাকে, এবং বিশেষ বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সর্বমোট তিন স্তরে নিরাপত্তা থাকবে। পুরো এলাকায় জনসাধারণ চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। সব মিলিয়ে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অজিদের। নিরাপত্তা শঙ্কায় শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করে তারা। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সে সময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেওয়ার পরও সিদ্ধান্ত বদলায়নি অস্ট্রেলিয়া। এমন কী ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব বিশ্বকাপ খেলতে তাদের যুব দল পাঠায়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সবই ছিল নিরাপত্তার অজুহাতে।