আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাঁচ আরোহী নিয়ে আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া ডুবোযান টাইটান ও এর পাঁচ আরোহী ‘ভয়ংকর বিস্ফোরণে’ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড। গভীর সমুদ্রে সম্পূর্ণ বৈরি পরিবেশে অভিযান চালিয়ে আরোহীদের দেহাবশেষ উদ্ধারের সম্ভাবনা একদম ক্ষীণ বা নেই বললেই চলে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল জন মাগার বলেন, ধ্বংসস্তূপের যে চিত্র পাওয়া গেছে তা ‘বিপর্যয়কর বিস্ফোরণের’ সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই অবস্থায় সেখান থেকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ ও আরোহীদের ছিন্নভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও দেহাবশেষ উদ্ধার করা কখনই সম্ভব হবে না। টাইটানের ৫টি বড় টুকরো পাওয়ার পর তিনি এসব তথ্য জানান। খবর দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
পাঁচ আরোহীর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া নিয়েও কোনো আশা দেখাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। রিয়ার এডমিরাল জন মাগার আরও বলেন, ‘ওই পাঁচজনের মৃতদেহ হয়ত কখনও মিলবে না। কারণ মহাসাগরের তলদেশের পরিবেশ অবিশ্বাস্যরকম নির্মম এবং ভয়ানক ঠান্ডা।’
ওশানগেইট থেকেও এক বিবৃতিতে তারা ‘দুঃখজনকভাবে হারিয়েই গেছেন’ বলে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সাবেক চিকিৎসক জানিয়েছেন, টাইটান ও এর পাঁচ আরোহীর মর্মান্তিক ও চূড়ান্ত পরিণতির আগের মুহুর্তে যা ঘটে থাকতে পারে যানটিতে।
সমুদ্রের নীচের চিকিৎসা, ওষুধ এবং বিকিরণ স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা. ডেল মোলে মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক পরিচালক।
তিনি সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন, আরোহীদের মৃত্যু দ্রুত এবং বেদনাহীন হয়ে থাকতে পারে। সমুদ্রের গভীরে অবিশ্বাস্য ও ভয়াবহ চাপের আঘাতে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছিল।
মোলে বলেছেন: `দুর্ঘটনাটি এতই আকস্মিক হয়ে থাকতে পারে যে আরোহীদের কেউই তা কয়েক মুহূর্ত আগেও বুঝে উঠতে পারেননি যে কী ভয়ংকর পরিণতি ঘটতে যাচ্ছে তাদের ভাগ্যে।
‘এটা হয়তো এক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে ঘটেছিল। তারপর টাইটানের সুইচটি বন্ধ হয়ে যায়। হয়তো তারা এক মিলিসেকেন্ড বেঁচে ছিলেন এবং পরের মিলিসেকেন্ডে তাদের নির্মম মৃত্যু হয়।`