প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা করেন না, আর যা করেন তা বলেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে যশোরে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে শহরের লালদীঘি পাড়ে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা করেন না, আর যা করেন তা বলেন না। এটা এক ধরনের প্রতারণা। জনগণকে ধোঁকা দেয়া বলে। প্রশাসনের মধ্যে অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্য আছে। যারা রাতের আঁধারে ভোট কাটতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। হাসিনা সরকার টিকে থাকার চেয়ে তারা বেশি আতংকিত ভবিষ্যতে চাকরি থাকবে কিনা। এ কারণে বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকা নিয়ে যতটা না আগ্রহ, তার চেয়ে বেশি উৎসাহ তাদের (পুলিশ)। পুলিশের কাজ আইনশৃংখলা নিশ্চিত করা। দুষ্টের দমন, সৃষ্টের পালন করা পুলিশের কাজ। কিন্তু পুলিশ দুষ্টের কাজ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে পারি। বাধা আসলে আমরা প্রতিরোধ করবো। আক্রমণ আসলে প্রতি আক্রমণ করবো। কিন্তু জনগনের রেভিনিউয়ের টাকা দিয়ে গুলি কিনে সরকারকে ঠেকানোর জন্য হাতিয়ার বাহিনী আছে। সেই হাতিয়ার বাহিনীকেও মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যে আমাদের দুই ভাই ভোলায় শহীদ হয়েছেন এই হাতিয়ার বাহিনীর হাতে। এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হলে রাজপথ রঞ্জিত হবে, এটা আমরা জানি। জেনেশুনেই আমরা এই আন্দোলনে শামিল হয়েছি। বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দিনের বেলায় রাজনীতি করার সাহস নেই। দুর্বৃত্তের মত রাতের বেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করছে। আওয়ামী লীগ দুর্বৃত্তের দল। তার পুলিশের উপর ভরসা করতে পারছেনা। এ জন্য দলের ক্যাডারদের মাঠে নামিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।’
এর আগে যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে বিএনপির কার্যালয় ও দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামসহ জেলার চার শীর্ষনেতাদের বাড়ি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীদের হামলা ও ভাংচুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় জেলা বিএনপি ও ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ড বলেন, খুলনা, যশোর, মাগুরায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পণ্ড করা হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা বন্ধ না হলে খুলনা বিভাগ অচল করে দেয়া হবে।