গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার (৯ জুলাই) জরুরি বৈঠক করেছে। এদিকে তিন দিনের ব্যাপক সংঘাতের পর ইসলামি জিহাদ ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি দুর্বল অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়। তারপরও এ সংস্থার অনেক সদস্য দেশ সেখানে সংঘাতের ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে।
বৈঠকের শুরুতে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত টর উইনেসল্যান্ড সতর্ক করে বলেন, ‘‘এ অস্ত্রবিরতি ভঙ্গুর। ফের যুদ্ধ শুরু হলে পরিণতি হবে ‘ভয়াবহ’।’’
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভসিলি নেবানজিয়া বলেন, সেখানে আবারো সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আর এই সংঘাত পুরোদমে সামরিক লড়াই শুরুর ক্ষেত্রে ইন্ধন যোগাতে পারে। সেখানে ফের যুদ্ধ বেধে গেলে গাজার মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। ইতোমধ্যেই যার অনেক অবনতি ঘটেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা শুক্রবার (৫ জুলাই) থেকে গাজায় ইসলামি জিহাদের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান ও কামানের গোলা বর্ষণ করেছে। এর প্রতিশোধ নিতে ইসলামি যোদ্ধারা সহস্রাধিক রকেট হামলা চালায়।
গত বছর ১১ দিনের যুদ্ধের পর এ সহিংসতা ছিল গাজার সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। মিশরের মধ্যস্থতায় রবিবার (৭ জুলাই) রাতে একটি অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছানোর পর লড়াইয়ের সাময়িক অবসান ঘটে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এ সংঘাতে গাজা উপত্যকায় ১৫ শিশুসহ ৪৪ জন নিহত ও ৩৬০ জন আহত হয়। সূত্র: আল জাজিরা