আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি। আর সে কারণেই স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয় করা হয়েছে। এমন বিবৃতি দিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে সরকার।
ভারতের কলকাতায় ডিজেল বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৪ টাকা বেশিতে। পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা বেশিতে। এ পার্থক্যের কারণে বিদেশি মুদ্রা খরচ করে আমদানি করা জ্বালানি তেলের পাচার রোধে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের প্রভাবও এক্ষেত্রে কাজ করেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লিটারে ডিজেল ৩৪ টাকা, পেট্রোল ৪৪ এবং অকটেনের দাম বেড়েছে ৪৬ টাকা। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা হয়েছে।