লোরকান টাকার এবং জর্জ ডকরেল ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৮৬ রান তুলে আয়ারল্যান্ডকে প্রায় অসম্ভব এক জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিল। এই দুই ব্যাটারের দারুণ লড়াইয়ের পরও তা পরাজয় এড়াতে পারেনি। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ২১ রানে জিতেছে সাউথ আফ্রিকা।
বুধবার ব্রিস্টলে হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করা প্রোটিয়ারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৫ উইকেটে ২১১ রান। আইরিশরা চমৎকার সম্ভাবনা জাগিয়েও ৯ উইকেটে ১৯০ রানে থামে।
পাওয়ার প্লের ভেতর কুইন্টন ডি কক ও রাসি ফন ডার ডুসেনের উইকেট হারায় সাউথ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেটে রেজা হেনড্রিক্স ও এইডেন মার্করাম আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ১১২ রানের বড় জুটি গড়েন।
১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে অতি বিধ্বংসী মার্করাম ২৭ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৬ রান করে আউট হন। পরের বলে ৫৩ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ৭৪ রান করা হেনড্রিক্সও বিদায় নিলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন আইরিশ লেগব্রেক বোলার গ্যারেথ ডেলানি।
এরপর মিনি ক্যামিও ইনিংস খেলেন ট্রিস্টান স্টাবস। ১১ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ২৪ রান করে তিনি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ইনিংসের শেষ ১০ বলে ২৬ রান তুলে দুইশ রানের গণ্ডি পেরোয় প্রোটিয়ারা। শেষের ঝড় তুলেছিলেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। ৭ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় তিনি ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।
ডেলানি ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ২ ওভারে ১২ রান ও খরুচে জশ লিটল ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।
আয়ারল্যান্ড যখন ১০ ওভারের আগেই ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল, তখন দলটির বড় পরাজয় বরণটাকেই মনে হচ্ছিল অবধারিত। গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলায় রোমাঞ্চের শুরুটা সেখান থেকেই হয়। তিনে নামা উইকেটরক্ষক ব্যাটার টাকার এবং ডকরেল ষষ্ঠ উইকেটে তাণ্ডব চালাতে থাকেন। ১৭ ওভারে তারা দলের স্কোর ১৭০ রান পর্যন্ত নিয়ে যান।
টাকার ৩৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৮ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে আইরিশদের আশার প্রদীপটা উজ্জ্বলভাবেই জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। তাবরাইজ শামসির বলে ডি ককের গ্লাভসে তিনি যখন ধরা পড়ে ক্রিজ ছাড়েন, তখন আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ৩ ওভারে ৪২ রান।
১৮তম ওভারের প্রথম বলেই ২৮ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৩ রান করা ডকরেলকে ফেরান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। পরের ওভারে মার্ক এইডারের উইকেট তুলে নেন লুনগি এনগিডি, রান আউট হন ব্যারি ম্যাকার্থি। লড়াই থেকে ছিটকে যায় আয়ারল্যান্ড।
সাউথ আফ্রিকার পক্ষে দুটি করে উইকেট পান কেশব মহারাজ, ওয়েইন পার্নেল ও তাবরাইজ শামসি। একটি করে উইকেট দখল করেন এনগিডি ও প্রিটোরিয়াস।