দেউলিয়া হওয়ার পথে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তান। গত ৭৫ বছরে ইতিহাসে এতো বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি দেশটি। ২৩ বছরের মধ্যে চলতি জুলাই মাসে সবচেয়ে কমেছে মুদ্রার মান। প্রতি ডলারের জন্য এখন গুনতে হচ্ছে দুইশো ২৩ রুপি। বৈদেশিক রিজার্ভও ঠেকেছে তলানিতে। বর্তমানে এই অংকটা দাঁড়িয়েছে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। লাগামহীন মূল্যস্ফীতিতে জ্বালানি আর নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি।
মে মাসে পাকিস্তানের মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩ ট্রিলিয়ন রুপিরও বেশি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ছাড়াও এ ঋণের বড় অংশ নেয়া হয়েছে চীন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। আগের অর্থ পরিশোধ না করায় নতুন করে ঋণ দিতে রাজি নয় আরব আমিরাত। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণ পেতেও মানতে হবে কঠিন শর্ত।
এমন বাস্তবতায় ঋণের জালে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে থাকা পাকিস্তানের সামনে চোখ রাঙাচ্ছে শ্রীলঙ্কার পরিণতি। ঋণ খেলাপির হাত থেকে বাঁচতে মরিয়া শাহবাজ সরকার। এ জন্য সংবিধানের ৬টি আইন টপকে নতুন অধ্যাদেশ পাস করা হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না আদালতও।
পাহাড় সমান বিদেশি ঋণের একটি বড় অংশই নেয়া হয়েছিলো ইমরান খানের আমলে। তবে উত্তরণে শাহবাজ সরকারের নেয়া পদক্ষেপে তীব্র আপত্তি জানায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীরা বলছে, এটি স্বল্পমেয়াদী সমাধান। জাতীয় সম্পদ বিক্রিতে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি। রয়েছে বিদেশি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও।