ম্যানচেস্টার সিটির জার্সি গায়ে অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখলেন নরওয়েজিয়ান তরুণ তুর্কি আর্লিং ব্রট হালান্ড। কাল হালান্ডের গোলে প্রাক-মৌসুম যুক্তরাষ্ট সফরে ইউসকনসিনের ল্যাম্বিয় ফিল্ডে বায়ার্ন মিউনিখকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।
শুরু ও প্রথমার্ধে একবার অপর্যাপ্ত আলোর কারনে ম্যাচের সময় বিলম্বিত হয়েছে। এ কারনে পুরো ম্যাচটি ৯০ মিনিটের পরিবর্তে ৮০ মিনিটে সম্পন্ন হয়।
৬১ মিলিয়ন ডলারে ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার হালান্ডের ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে নিজেকে প্রমানে খুব একটা সময় লাগেনি। জাত খেলোয়াড় মনে হয় একেই বলে। এর আগে বুধবার হাউস্টোনে মেক্সিকান ক্লাব আমেরিকার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে ইনজুরির কারনে খেলতে পারেননি হালান্ড। সাত মিনিটে সার্জি জিনাব্রির গোল অল্পের জন্য অফসাইডের কারনে বাতিল হয়ে না গেলে বায়ার্ন হয়ত তখনই এগিয়ে যেতে পারতো। এর আগে অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটি দুটি সুযোগ নষ্ট করেছে। ১২ মিনিটে হালান্ড অবশ্য আর কোন ভুল করেননি। রিয়াদ মাহারেজের ফ্রি-কিক ব্লক হয়ে গেলে কেভিন ডি ব্রুইনা বল নিয়ে জ্যাক গ্রীলিশের দিকে বাড়িয়ে দেন। গ্রীলিশের ক্রসেই পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ান হালান্ড।
এই গোলের পরপরই বিদ্যুৎ সমস্যার কারনে আরো একবার ম্যাচের গতি নষ্ট হয়। এনএফএল’র গ্রীন বে প্যাকার্সে উপস্থিত প্রায় প্রায় ৭৮ হাজার ২০০ সমর্থক সিটি-বায়ার্নের এই দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ছিলেন। এর আগে বিপদজনক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ম্যাচটি শুরু হতেও প্রায় ২০ মিনিট দেরী হয়েছে। ল্যাম্বিয়তে প্রথমবারের মত আয়োজিত কোন পেশাদার ফুটবল ম্যাচের আবহ অবশ্য এই পরিস্থিতিগুলোতে একটুও নষ্ট হয়নি। প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় ধরেই সিটি সমর্থকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন হালান্ড। ম্যাচের আধিপত্য সিটির কাছে থাকলেও ৩৮ মিনিটে বায়ার্ন গোলের সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করে। আলফোনসো ডেভিসের ক্রস থেকে জিনাব্রি বলটি ধরতে ব্যর্থ হন। পরের মিনিটেই হালান্ড ব্যবধান প্রায় দ্বিগুন করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু তার বাম পায়ের প্রচেষ্টাটি অফসাইডের কারনে বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে হালান্ডের পরিবর্তে মাঠে নামেন আরেক নতুন চুক্তিভূক্ত স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজ। ৪৩ মিনিটে তার শটটি অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই বেশ কিছু পরিবর্তন করে মাঠে নামে। কিন্তু ম্যাচের শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগ ও বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন ক্লাব দুটির মধ্যে টেনশন অব্যাহত ছিল। এর আগে ওয়েইন রুনি ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৬-২ গোলের বড় জয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি।
উভয় ক্লাবেরই এই ম্যাচের পর নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবার কথা রয়েছে। আগামী শনিবার কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচে লিভারপুলের মোকাবেলা করবে ম্যান সিটি। অন্যদিকে সুপার কাপের ফাইনালে আরবি লিপজিগের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন।