বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

এখন সময় এসেছে বেঞ্চের খেলোয়াড়দের শক্তি দেখার: তামিম

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ১৪, ২০২২
CHRISTCHURCH, NEW ZEALAND - FEBRUARY 16: Tamim Iqbal Khan of Bangladesh walks out to bat during Game 2 of the One Day International series between New Zealand and Bangladesh at Hagley Oval on February 16, 2019 in Christchurch, New Zealand. (Photo by Kai Schwoerer/Getty Images)

‘আমার কাছে যে জিনিসটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল, এখন সময় এসেছে বেঞ্চের খেলোয়াড়দের শক্তি দেখা। স্বাভাবিকভাবে পয়েন্টের জন্য খেললে সেই সুযোগ থাকে না। এরকম সিরিজে আপনি যদি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান, তখন যারা খেলে নাই অথবা যাদেরকে নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরে ঘুরছি, তাদেরকে সুযোগ দেয়া উচিৎ। আবারও যদি ম্যাচ মিস করতে হয়, আমি মনে করি একদম ঠিক আছে।’

এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে একাদশে পরিবর্তন আসার ইঙ্গিতটা সাংবাদিকদের এভাবেই দিলেন তামিম ইকবাল।

ক্রিকেটে শক্তিশালী দলগুলো যখন অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের মুখোমুখি হয় কিংবা ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে যায়, তখন বেঞ্চের খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ করে দেয়। এতে করে দলের শক্তির গভীরতা সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পাওয়া যায়। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের মানিয়ে নেয়ার সুযোগটাও আসে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এ ধরনের সংস্কৃতি গড়ে না উঠলেও তামিম এবার সেদিকেই জোর দিলেন।

‘এই জায়গায় আমরা যদি বেঞ্চের শক্তির জায়গাগুলো না দেখি, তাহলে দেখবোটা কখন? কারণ হঠাৎ করে কেউ যদি সেরা একাদশের কোনো খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়ে যায়, তখন একটা ছেলে কোনো ম্যাচ ছাড়া এসে যদি খেলে, তখন ওর জন্য একটু কঠিন। সম্ভবত পরবর্তী ম্যাচে এরকম কিছু একটা দেখতে পারেন। অনেকেই যারা খেলেনি, তারা খেলবে।’

তামিমের কথার সঙ্গে বাস্তবতা মিলে গেলে তৃতীয় ওয়ানডেতে একাদশে থাকতে পারেন এনামুল হক বিজয়, ইবাদত হোসেন এবং তাইজুল ইসলাম। অর্থাৎ তিনটি পরিবর্তন দলে আসাটা অস্বাভাবিক নয়।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের পর টি-টুয়েন্টি সিরিজে বিধ্বস্ত হয় টাইগাররা। তবে চিরচেনা সংস্করণ ওয়ানডেতে ফিরেই আবার স্বরূপে ফিরেছে সফরকারীরা। ফলে জয় উদযাপনটা উপস্থিত সকলের বেশ চোখেই পড়েছে। বাংলাদেশ যেখানে এখন সাউথ আফ্রিকাকেও তাদের মাটিতে হারায়, সেখানে এমন বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখানো কতটা প্রাসঙ্গিক- বিষয়টি জানতে চাওয়ার পর তামিম যেন উদযাপনের পক্ষেই সাফাই গাইলেন।

‘আপনি যার সাথেই জেতেন না কেন ইংল্যান্ড বলেন, নিউজিল্যান্ড বলেন, জিম্বাবুয়ে বলেন র‍্যাঙ্কিংয়ে উপরে নিচে অনেকেই থাকে। তবে আমাদেরকে প্রচুর কষ্ট করেই খেলতে হয়। যে সেঞ্চুরি পায়, তার কষ্ট করে খেলা লাগে। যে ৫ উইকেট পায়, তারও কষ্ট করে খেলা লাগে। প্রতিটা জয়ই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু।’

‘অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজ জিতলে যেভাবে উদযাপন করা উচিৎ, জিম্বাবুয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে জিতলেও একইভাবে উদযাপন করা উচিৎ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেউ আপনাকে জয় উপহার দেবে না। আমাদের এজন্য লড়াই করতে হবে। সবাই সেটাই করেছে। তাদের উদযাপন করা উচিৎ।’

‘তিনজন ক্রিকেটার (সাকিব, মুশফিক, ইয়াসির রাব্বি) মিসিং থাকলে একটু তো আত্মবিশ্বাস ওপর-নিচ হয়। আমার কাছে মনে হয় যে এই জিনিসটা বাকিরা বুঝতেই দেয়নি। মূল কথা হচ্ছে প্রত্যেকে জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত ছিল। টেস্ট সিরিজ বলেন বা টি-টুয়েন্টি সিরিজ- সবাই চেষ্টা করেছে কিন্তু রেজাল্টটা আসেনি।’

দলের টেস্ট আর টি-টুয়েন্টি সিরিজ ব্যাজে গেলেও ওয়ানডেতে লাল-সবুজের দলের শরীরী ভাষা অন্যরকম হয়ে যায়। তামিমের কাছে তাই বিষয়টির কেমেস্ট্রি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। বাস্তবতাটাই তুলে ধরলেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক।

‘আমরা এই খেলাটায় হয়তোবা একটু স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। বেশকিছু ম্যাচ এটাতে খেলেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও আপনি যদি দেখেন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আমার মনে হয় সব থেকে প্রতিযোগিতামূলক, যেটা আমরা বাংলাদেশে খেলি। সম্ভবত এই কারণেই আজ এই জায়গায় ফলাফলটা আসে। আর যে জায়গায় ফলাফল আসে, সেই জায়গার পরিবেশটা একটু ভিন্ন থাকে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ