বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন

২১০ কিলোমিটার সাঁতরে লাখ টাকা জয়!

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ১৪, ২০২২

কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার কোনাবাড়ি ঘাট থেকে নরসিংদী সদরের শেখ হাসিনা সেতু এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ ২১০ কিলোমিটার মেঘনা নদী সাঁতরে পার হয়ে আলোচনায় এসেছেন নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীর পল্লী চিকিৎসক বকুল সিদ্দিকী। তার স্বপ্ন এখন পিছনের রেকর্ড ভেঙ্গে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান করে নেয়া।

তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৯৯৫ সালে থাইল্যান্ড বর্ডার থেকে টানা ১৮ ঘন্টা সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ায় আসেন বকুল সিদ্দিকী। পেশায় পল্লী চিকিৎসক ওই সাঁতারু নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। পিতার শেখানো সাঁতার আর প্রবাস জীবনের সেই অভিজ্ঞতা থেকে নিজ উদ্যোগেই প্রতিবছর স্থানীয় সাঁতার উৎসব আয়োজনে অংশ নেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১৩ই জুলাই) ভোর চারটার দিকে কুমিল্লা জেলার হোমনা এলাকার কোনাবাড়ি ঘাট থেকে মেঘনা নদী দিয়ে সাঁতার শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় ১২ ঘন্টা ৩০ মিনিট বিরতিহীন সাঁতার কেটে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে নরসিংদী সদর উপজেলার শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় এসে পৌঁছান তিনি। দীর্ঘ এই নদীপথ পাড়ি দিয়ে নজরপুর এলাকায় পৌঁছালে উৎসুক গ্রামবাসী তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।

আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঞা। আলোকবালী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সরকার দীপুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বরণ করে নেন সাতারু বকুল সিদ্দকীকে। শখের সাঁতারে এলাকাবাসীর মন জয় করা পল্লী চিকিৎসকের স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

এবছর কুমিল্লা থেকে নরসিংদী ২১০ কিলোমিটারের পানি পথ পাড়ি দেন তিনি। পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়ে গিনেজ বুকে নাম লিখাতে আরো একধাপ এগিয়ে যাবেন বলে মনে করেন তিনি। এদিকে, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণার পাশাপাশি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ