প্রথমবার আরব অঞ্চল থেকে গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জেতার অপেক্ষায় তিউনিসিয়ার ওনস জাবির। এর আগে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল খেলেও ইতিহাস গড়েছেন তিনি। তিউনিসিয়ায় রজার ফেদেরার খ্যাত জাবিরকে নিয়ে উচ্ছ্বাস। তরুণ প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান এ টেনিস তারকা।
তিউনিসিয়ানদের গর্বের শেষ নেই তাদের কন্যা ওনস জাবির ইতিহাস গড়েছেন। টেনিস দুনিয়ায় অর্জনের গর্জন শুনিয়েছেন তাকে নিয়ে হইচইতো হবেই।
শুধু তিউনিসিয়ার গন্ডিতে আবদ্ধ রাখলে ভুল হবে জাবির গোটা আরবের উজ্বল নক্ষত্র। তিনি ইতিহাস গড়ার কারিগর। আরব দুনিয়া থেকে টেনিসের উন্মুক্ত যুগে প্রথমবার কোনো গ্র্যান্ডস্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল খেলা তারকা।
জন্মটাও এমন এক দেশে যেখানে আরব বসন্তের শুরু। আর টেনিসের জাগরণ হাত ধরে। নতুন উচ্চতায় উত্তর আফ্রিকার দেশটি। গর্বের সঙ্গে তাকে ডাকা হয় তিউনিসিয়ার ফেদেরার।
জন্ম ১৯৯৪ সালে সমুদ্র উপকূলের শহর হাম্মামে। মাত্র ৩ বছর বয়সে টেনিসে হাতেখড়ি মায়ের কাছে। স্থানীয় এক হোটেলের কোর্টে নিয়মিত অনুশীলন। তবে স্বপ্ন তার আকাশ ছোঁয়ার। তাই ১২ বছর বয়সে পাড়ি জমান রাজধানী তিউনিসে।
ধীরে ধীরে নিজের সামর্থ্যের জানান দেন জাবির। ইনজুরি বারবার স্বপ্নযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে পারেনি থামাতে। তবে বড় সাফল্যের জন্য করতে হয় দীর্ঘ অপেক্ষা। ৩ ডব্লিউটিএ সিঙ্গেল শিরোপা, ১১ বার আইটিএফ সার্কিটে চ্যাম্পিয়ন তাকে তৃপ্ত করতে পারেনি।
এ বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনে প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ার হতাশা। তবে তারপরই বার্লিন ওপেনে কামব্যাক। র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে উঠে আসা। আর উম্বলডনে তো ইতিহাস। ডানহাতি টেনিস তারকার বল কন্ট্রোলের দক্ষতায় অনন্য। তাকে বলা হয় ড্রপ শটের কুইন।
২০১৫ সালে বিয়ে করেন তার ট্রেইনার করিম কাউনকে। তিউনিসিয়ান আইকন এখন তরুণ প্রজেন্মর আদর্শ। তার জীবনের লক্ষ্যও তারুণ্যেকে উৎসাহ জোগানো। সে পথে ইতোমধ্যেই তিনি সফল। তার টেনিস ক্লাবের সদস্য ৩২০ থেকে বেড়ে এখন ৭০০।