ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর বরিস জনসনের নেতৃত্বে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বলা যায় স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছিল যুক্তরাজ্য। পশ্চিমা নেতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৌড়ঝাঁপ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর দুইবার আকস্মিক কিয়েভ সফর করেছেন জনসন। এই যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনাকারীর মধ্যেও বরিস জনসন এগিয়ে। যে কারণে তার ওপর নাখোস ছিলেন রাশিয়ান নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার বরিস জনসনের পদত্যাগের খবরে তাই পুতিন খুশি হয়েছেন। খবর: বিবিসি।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। বরিস জনসনের পদত্যাগের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘বরিস আমাদের পছন্দ করেন না, আমরাও তাকে পছন্দ করি না।’ এছাড়া ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আশা করে ব্রিটেনে ‘আরও পেশাদার লোক’ ক্ষমতায় আসবে।
পেসকভ বলেন, আমরা আশা করি একদিন ব্রিটেনে আরও পেশাদার লোক যারা সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা ক্ষমতায় আসবে। তবে এই মুহূর্তে তেমন আশা নেই বলেও উল্লেখ করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বরিস জনসন। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী থেকেও সরে যাবেন। চলতি গ্রীষ্মে কনজারভেটিভ পার্টির একজন নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে। অক্টোবরে দলীয় সম্মেলনের সময় নতুন কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এই সময় পর্যন্ত জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকবেন।