পরীমণি যতদিন বাঁচবেন প্রতি বছর এফডিসিতে গরু কোরবানি দেবেন সিনেমা সংশ্লিষ্ট নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য। সেই ধারাবাহিকতা ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল একটানা ৬ বছর বজায় থাকলেও এবার আর সেটি নায়িকার ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না।
প্রথম বছর একটি গরু কোরবানি দিয়েছিলেন। এরপর প্রতি বছর একটি করে গরুর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতি বছরই একটি করে বাড়বে বলে জানিয়েছিলেন পরীমণি। গেল বছরের ঈদেও পরীমণি একসঙ্গে ৬টি গরু কোরবানি দিয়েছিলেন সিনেমা সংশ্লিষ্ট সামর্থ্যহীন মানুষদের জন্য।
পরীর কথা অনুযায়ী, এবার ৭টি গরু কোরবানি দেয়ার কথা থাকলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছেন তিনি। পরীমণি নিজে কোরবানি দিলেও এফডিসি সংশ্লিষ্ট মানুষদের জন্য এবার আর কোরবানি দিতে পারছেন না। এমনটা জানিয়েছেন নায়িকা নিজেই।
কেন কোরবানি দেবেন না, তা পরিস্কার না করলেও এফডিসির গুটিকয়েক মানুষের প্রতি তার ক্ষোভ স্পষ্ট। গত বছর এফডিসির ভেতর কোরবানি দেয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরীমণিকে বাইরে কোরবানি দিতে হয়। এমনকি এদিন বিকালে তাকে এফডিসি প্রবেশে বাধা পেতে হয়। তাছাড়া জীবনের খারাপ সময়ে সহকর্মী কারো সহযোগিতা পাননি পরী। হয়ত এ জন্যই তার এই ক্ষোভ। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত নানান ঝামেলায় জড়িয়ে হয়ত নায়িকা কিছুটা সংকটে পড়েছেন। তাই হয়ত নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরতে হচ্ছে তাকে। কোরবানির আর মাত্র ৩ দিন বাকি। এখন সময়ই বলে দেবে শেষ মুহূর্তে পরী কোরবানি না দেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন, না-কি সিদ্ধান্ত বদল করেন।
এদিকে, কারাবাস শেষে পরীমণি শুরু করেছেন নতুন জীবন। ২০২১ সালের অক্টোবরে অভিনেতা শরিফুল রাজ ও পরীমণি একে-অপরকে কবুল বলেন। পরিচয়ের মাত্র সাত দিনের মাথায় তারা জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তটি নেন। এরপর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি (সোমবার) হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দেন পরী।বর্তমানে সে ঘরে অনাগত সন্তানের অপেক্ষায় আছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে অক্টোবরে রাজ-পরীর ঘরে আলোকিত করে আসবে তাদের প্রথম সন্তান।