বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বন্যার কারণে আপনারা দুর্ভোগে আছেন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে ১৮ কোটি মানুষ দুর্ভোগে আছেন। এ থেকে মুক্তি পেতে হবে। আপনার ভোটের অধিকার আদায় করতে হবে। এই আন্দোলন আপনাদের জন্যে। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপরে নেত্রকোনার আটপাাড়া সুখারি , তারাচাপুর আমতলা বাজার ও বারহাট্রা উপজেলার নিশ্চিন্তপুরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
যেদিন আপনাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবো সেদিন আমরা নির্বাচনে যাবো। তার আগে বর্তমান সরকারের অধীনে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। কোনো তালবাহানার ফাঁদে আমরা পা দেবো না। অন্য রাজনৈতিক দলসহ প্রহসনের নির্বাচনে আমরা আর অংশগ্রহণ করবো না।
এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক আনোয়ারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, জেডআরএফ এর ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, সদস্য সচিব প্রকৌশলী মাহবুব আলম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালি, জেডআরএফের সদস্য প্রকৌশলী মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে ২০ শতাংশ মানুষ বন্যার দুর্ভোগে রয়েছে। কিন্তু দেশের ১৮ কোটি মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের কারণে দুর্ভোগে আছে। এ থেকে আপনাদের মুক্তি পেতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আপনাদের ভোটের অধিকার আদায় করতে হবে। আপনার ভোট আপনি দেবেন, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদে যাকে খুশি তাকে দেবেন। আমাদের আন্দোলন আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। যেদিন আপনাদের নিরাপদ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব, সেদিনই আমরা নির্বাচনে যাব।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে দেশে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়ে, সেদেশে সব কিছুর দাম বাড়বে। কারণ, এর সাথে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একটাই উপায়—আপনাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি। আপনাদের শক্তি আমাদের দলের ও দেশের শক্তি। আপনাদের শক্তি ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকারকে বিতাড়িত করব এবং দেশ, দেশের জনগণ ও দেশনেত্রীকে মুক্ত করব।’