রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন

কমেছে ডিম-কাঁচা মরিচের বেড়েছে চিনির দাম

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০২২

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে চিনির দাম। কিছুটা কমেছে ডিম, মুরগি ও সবজির দাম। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে প্রতি কেজি লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। সিম প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল ২৪০ টাকা।

করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকা।

বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। ৮০ টাকা দাম কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

সবজি বিক্রেতা মো. কবির মিয়া জানান, সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সাপ্লাই ও আমদানি ভালো থাকায় সবজির দাম কমেছে।

এছাড়া আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

দাম বেড়েছে চিনির। খোলা প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়াও লালা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

চিনি বিক্রেতা মো. নাহিদ জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা চিনির কেজিতে দাম বেড়েছে ৭ থেকে ৫ টাকা। খোলা চিনির কেজি ৯০ টাকা বিক্রি করছি। প্যাকেট চিনির কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। লাল চিনি কেজি বিক্রি করছি ১০০ টাকার।

পাইকাররা বলছেন, আমদানি ও যাতায়াত খরচ বাড়ায় দাম বেড়েছে চিনির। কবে দাম কমবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

বাজারে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।

ডিম বিক্রেতা মাসুদ বলেন, ডিমের দাম কমেছে। লাল ডিমের ডজনে আরও ১০ টাকা কমেছে। এখন লাল ডিমের ডজন ১২০ টাকা। ডিমের দাম আর কমার সম্ভাবনা নেই। খামারিরা বলছেন- তাদের লস হচ্ছে। এক মাস পরে আবার ডিমের দাম বাড়তে পারে।

গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।

মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ ভালো। ব্রয়লার মুরগির দাম আর কমছে না। কক মুরগির দাম আবারও বাড়তেও পারে, কমতেও পারে। সোনালি মুরগির দাম নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ