দেশে মহামারি করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে সাধারণ শয্যার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছে করোনা ডেডিকেটেড অন্যতম কুর্মিটোলো জেনারেল হাসপাতাল। এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ২৭৫ সাধারণ শয্যাতে ভর্তি রয়েছেন অতিরিক্ত ৫০ রোগী। ঢাকার আরও দুইটি বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৩৮টি এবং গ্রিনলাইফ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৮০টি। এ দুই হাসপাতালেও শয্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ১০৯ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ভর্তি আছেন ১০ জন। এ বিভাগেরই ফেনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত পাঁচ জন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০৬ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন অতিরিক্ত ১৫ জন রোগী।
রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের ৭২ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ভর্তি আছেন এক জন, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের ২৪২ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ১১ জন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪৩৪ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত ১৬ জন, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮০ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত পাঁচ জন রোগী ভর্তি আছেন।
খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতলের ১৯০ বেডের বিপরীতে ৬৫ জন, মাগুরা সদর হাসপাতালের ৫০ শয্যার বিপরীতে সাত জন অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন। আর বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালের ৫০ শয্যার বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন আট জন।
এছাড়া রাজধানীর ৮টি বড় সরকারি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) বেড ফাঁকা নেই। এর মধ্যে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ২৬ বেড, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ বেড, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ছয় বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪ বেড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেড, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ বেডের সবক’টি রোগীভর্তি। সরকারি এই আট হাসপাতালের ১২৭ বেডে রোগী ভর্তি রয়েছে।