স্যাটেলাইট ইমেজে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের ছবি সার্চে জুম.আর্থ ওযেবসাইটে দেখা যায়, ছবির উপরে একটি উইনডোতে লেখা আছে, লাল চিহ্ন দ্বারা তাপ বোঝানো হয়েছে যা আগুন, গরম ধোঁয়া বা কৃষি এবং অন্য যে কোন উৎসের কারনে হতে পারে।
আগুনের যতদুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ততদূর পর্যন্ত লালটে বর্ণ ধারণ করেছে এবং লাল অংশের উপর মাউস নাড়ালে (হিট) গরম লেখা দেখাচ্ছে। ( লিংক: https://zoom.earth/#view=22.449837,91.735789,14.72z/overlays=heat,fires)
শনিবার (০৪ জুন) চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সবশেষ খবর অনুযায়ী ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আহত প্রায় ৪শো’র বেশি। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ২৯ টি ইউনিট কাজ করছে।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা, আগুন যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সেনাবাহিনীর ১৫০ থেকে ২০০ সদস্য অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর দলটি কাজ শুরু করেছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কন্টেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমাদের কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা ফায়ার সার্ভিস সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’
শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কন্টেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।
ধীরে ধীরে ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। তবে ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।