রাসেল ডমিঙ্গোর কোচিং দর্শনে গলদ দেখছে বিসিবি। টি টোয়েন্টি থেকে সরিয়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন আলোচনায় সরব ক্রিকেট পাড়া। সোমবারের বৈঠকে শুধু টি টোয়েন্টি নয় নির্ধারিত হতে পারে ডমিঙ্গোর ভাগ্য নির্ধারণ। এদিকে প্রথম দলীয় অনুশীলনে হেড কোচ ছিলেন একা।
হোম অব ক্রিকেট মুখরিত। টাইগাররা অনুশীলনে। কোচরাও যার যার কাজে ব্যস্ত। ব্যতিক্রম রাসেল ডমিঙ্গো। ঘুরলেন একা একা। মাহমুদউল্লাহকে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করালেন। নজর রাখলেন মুশফিকের ব্যাটিংয়ে। তবে ইনডোরে গেলেন আর বেরিয়ে আসলেন। গায়ে আলাদা জার্সি, ডমিঙ্গো কি একঘরে?
বিসিবির সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় মধুর ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিচ্ছেদের কথা হয়ত ভাবেননি দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ। টি টোয়েন্টিতে তাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে বিসিবি। আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও টের পেয়ে গেছেন ডমিঙ্গো।
হেড কোচের সঙ্গে বোর্ড সভাপতির বৈঠক সোমবার। তবে কোচ তাতে কি বলবেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয় বিসিবির কাছে।
টাইগারদের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, আমি সব সময় মনে করি বিসিবি সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের অধিকারী। বিসিবি কাকে কোন পজিশনে রাখবে সেটা বিসিবি কল করবে। আমি তাকে (ডমিঙ্গো) যতটা চিনি, জানি তিনি ভদ্রলোক এবং পেশাদার মানুষ।
চারদিকে গুঞ্জন রাসেল ডমিঙ্গোর বিদায়ের শুরু। সে আলোচনা আরো উস্কে দিলেন খালেদ মাহমুদ। তার কোচিং দর্শনে সমস্যা দেখছেন টিম ডিরেক্টর।
টাইগারদের টিম ডিরেক্টর বলেন, তার ফিলোসোপি যেটা সেটা হয়তো আমাদের ব্র্যান্ড অব ক্রিকেটকে স্যুট করছে না। সবার জানা, বোঝাই যাচ্ছে যে আমরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পারফর্ম করতে পারছি না। সুতরাং দেশের জন্য, ক্রিকেটের জন্য যদি ডিফারেন্ট ফিলোসফি আসে তাহলে অসুবিধা কি। দেখা যাক, এ নতুন চিন্তা ভাবনায় কি হয়?
সোমবারের বৈঠকে ডমিঙ্গোর ভাগ্য নির্ধারণ। দু’পক্ষের মতের অমিল হলে শেষ হয়েও যেতে পারে তার বাংলাদেশ অধ্যায়।