ফুটবল পাড়ায় মোহাম্মদ সালাহর হুঙ্কারে লড়াইয়ের উত্তাপটা ছড়িয়ে পড়েছিল শুরু থেকেই। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে শনিবার (২৯ মে) রাতে সেই উত্তাপ ছিল মাঠের লড়াইয়েও। একের পর এক আক্রমণ করছিল লিভারপুল। কিন্তু গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া যেনো গোলপোস্টের নিচে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন। তার এই অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় বারবারই রক্ষা পেয়ে যায় রিয়াল। দুর্দান্ত সব সেভ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের নায়ক এই বেলজিয়ান।
কোর্তোয়ার এই পারফরম্যানস ঠিকঠাক বোঝানো যাবে না তিনি দলের জন্য কতোটা অতুলনীয় ছিল। বেলজিয়ানএই গোলরক্ষক সালাহ-মানে-দিয়াজদের সব আক্রমণ একাই রুখে দিয়েছেন। এদিকে ম্যাচের শুরুতে ১৬ মিনিটের সময়ই সালাহর শট বাঁদিকে ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন। সেই শুরু এরপর অবিশ্বাস্য ভাবে একের পর এক গোল বাচিয়েছেন কোর্তোয়া।
কোর্তোয়া শুধু গ্লাভস নয়, হাত-পা-বুক-মাথা শরীরের সব অংশ দিয়ে একাই রুখে দিয়েছেন সালাহদের। ম্যাচের শেষ মিনিটেও সালাহর শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। লিভারপুলের নেওয়া ৯টি অন টার্গেট শট কোর্তোয়ার দেয়ালে বাধা পড়েছে। লিভারপুলের আক্রমণভাগ ম্যাচের শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও কোর্তোয়ার দূর্ভেদ্য দেয়াল ভাঙতে পারেনি।
২০১৮ সালের ফাইনালের সেই প্রতিশোধ নেয়া হলো না মোহাম্মদ সালাহদের। ০-১ গোলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে অলরেডদের। এ নিয়ে ১৪তম শিরোপা জিতে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সে সঙ্গে কোর্তোয়ার অতিমানবীয় পারফর্ম্যান্স নিশ্চিত করে রিয়ালের জয়। একে একে নয়টি গোল সেভ করেন কাের্তোয়া।