পাঁচ মৌসুমে চতুর্থবারের মতো ইংল্যান্ড সেরা ম্যানচেষ্টার সিটি। গার্দিওলার চোখে ক্যারিয়ারেরই অন্যতম সেরা মৌসুম। কিন্তু সময়ের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুল কিংবা চেলসির মতো প্রতিপক্ষকে টপকে কিভাবে সেরাদের সেরা হলো সিটিজেনস।
ইউরোপ সেরা চেলসি আর ইংল্যান্ড সেরা লিভারপুল। ব্লুজ আর অলরেডদের দাপটে মৌসুম শুরুর আগে অনেকটাই কোনঠাসা ছিলো ম্যানচেষ্টার সিটি। লিগটা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ হওয়ায় শিরোপা পুনরুদ্ধার করা ছিলো আরও চ্যালেঞ্জের। কিন্তু মাস্টার ট্যাকটিশিয়ান পেপ গার্দিওলার মাস্টার স্ট্রোকে সেই চ্যালেঞ্জ জিতে দেখালো সিটিজেনস। ফিরে পেলো ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক রূপালি ট্রফি।
যার নেপথ্যে সত্যিকারের একটা দল হয়ে খেলা। যে দলে ছিলোনা মেসি-নেইমারের মতো নির্দিষ্ট কোন সুপারস্টার। ছিলোনা ম্যান ইউর মতো রোনালদো নির্ভরতা। যে দলে সবাই গুরুত্বপূর্ণ।
ক্লাব কিংবদন্তি কুন আগুয়েরোর বিদায় দরকষাকষিতে হ্যারি কেনকে না পাওয়া আর শুরুর দিকে স্বীকৃতি একমাত্র স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুসের ইনজুরি ও অফ ফর্ম। এসব কিছুই স্ট্রাইকার নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে বাধ্য করেছে গার্দিওলাকে।
যে দায়িত্ব পালনে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ডি ব্রুইনা, রিয়াদ মাহরেজ ও রাহিম স্টার্লিংরা। এই তিনজন মিলেই করেছেন ৩৯ গোল। মিডফিল্ডার বার্নার্দো সিলভাও ছিলেন মৌসুমজুড়ে গার্দিওয়ালার তুরুপের তাস।
শুধু গোল করাতে নয় গোল প্রতিরোধে শক্ত ডিফেন্স লাইনও সাফল্যের অন্যতম কারণ। ৯৯ গোল দেয়ার বিপরীতে মৌসুমজুড়ে মাত্র ২৬ গোল হজম করেছে ম্যান ইন স্কাই ব্লুজ। গোলবারে এদারসনের বীরত্বও ছিলো চোখে পড়ার মতো। ৩৮ ম্যাচের ২০টিতেই জাল অক্ষত রাখেন এই ব্রাজিলিয়ান।
তবে লিগের রূপালি শিরোপায় নাম লেখাতে বড় ভূমিকা ছিলো বড় ম্যাচে জয়। মৌসুমজুড়ে প্রতিপক্ষ বিগ ফাইভের বিপক্ষে হেরেছে মাত্র দুই ম্যাচ। দুটি টটেনহ্যামের বিপক্ষে। মূল প্রতিপক্ষ লিভারপুলের বিপক্ষে দু ম্যাচই করেছে ড্র।
শিরোপা উৎসবের জন্য লিভারপুলকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারে ম্যান সিটি। ৩৭তম রাউন্ডে ওয়েস্ট হ্যামের সঙ্গে সিটিজেনরা ড্র করলেও সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে শীর্ষস্থান দখল করতে পারেনি অলরেডস।
ইংল্যান্ড সেরা হতে শেষদিনে ভাগ্যও সহায় ছিলো ম্যানচেষ্টার সিটির। আর ভাগ্যতো সবসময় সাহসীদের পক্ষেই।