সুইস ব্যাংকে টাকা রাখা ৬৭ বাংলাদেশি ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)-র কাছে থাকা এসব তথ্য নিয়ে তাদের সম্পদের উৎসসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।
সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে এখন বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড়। সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ২৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এই অর্থের পরিমাণ ৫৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ ফ্রাঁ। স্থানীয় মুদ্রায় যা ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের তথ্য গোপন রাখে সুইস কর্তৃপক্ষ। তবে, প্রতিবেদন প্রকাশের পর শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন এক সেমিনারে জানিয়েছেন, তারা সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ৬৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেয়েছেন যা দুদকসহ বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়েছেন।
তবে, দুদক কমিশনার জহুরুল হক জানিয়েছেন, বিএফআইইউ তাদের কোনো তথ্যই দেয়নি।
দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, ‘দুদককে এখন পর্যন্ত কোন তথ্য তারা দেয়নি। আমি আজ বিভিন্ন অফিসে খোঁজখবর নিয়েছি। সেখানে এখন পর্যন্ত দুদক ৬৭ জনের কোন নাম পায়নি।’
৬৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকায় কাদের নাম, কি তাদের আয়ের উৎস তা এখন জানতে চায় দুদক।
দুদক কমিশনার আরও বলেন, ‘দুদককে জানালে দুদক অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। আমাদের যতি আইনগত বাধা না থাকে তাহলে আমরা তথ্য চাবো। আর যদি বিএফআইইউ আমাদের তথ্য দেয় তাহলে আমরা তা মোতাবেক কাজ করব। এই পাঁচারকারির সংখ্যা খুব বেশি না। কিন্তু টাকা পাঁচার করে অনেক বেশি। তাদের প্রতি সচেতন হতে হবে আমাদের।’
অর্থপাচারের তদন্তকারী সংস্থা একসময় কেবল দুদকের হাতে থাকলেও এখন এনবিআর, সিআইডিসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠান তদন্ত করছে। তবে দুদকের মামলাতেই সাজার হার শতভাগ।