সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বীর বিক্রম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
তিনি বলেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি আরেকটি বিজয় অর্জন করবে। এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সব হাতিয়ার জমা দেয়ার আহ্বান জানান। তানা হলে রাজপথে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে।
রোববার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আন্দোলন কিভাবে করতে হয়, দাবি কিভাবে আদায় করতে হব এবং ষড়যন্ত্রকারীদের কিভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, এটা আওয়ামী লীগ জানে। বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিরোধে জেগে ওঠার আহ্বান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো শেখ হাসিনাকে হারাতে চায় না। তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না, আপনারা কারা আমরা জানি। ৭১ সালে দেশ-বিরোধী ছিলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছেন, এখন আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন, ষড়যন্ত্র করেন। আওয়ামী লীগ কি বসে বসে ঘাস কাটবে? ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। তানা হলে দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে। পালানোর জন্য পথও খুঁজে পাবেন না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজকে ক্ষমতায় আছে বলে সারা দেশ আলোকিত। আগে একবেলা ভাত খাওয়াই কষ্ট ছিল, লুঙ্গি পড়ে খেতে কাজ করতে হতো। কিন্তু আজকে খাবারের জন্য কেউ কষ্ট করে না। প্যান্ট-শার্ট পরে ঘুরে বেড়ায়।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি সেতু গোটা বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আগামীতে আরও দেখতে পারবেন। যতদিন শেখ হাসিনা থাকবে, ততদিন দেশের উন্নয়নই হবে।
এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী ১০ জুন ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ওই কর্মসূচি হবে অতীতের যেকোনো সমাবেশ থেকে বিশাল ও স্মরণীয়। যা পরবর্তীতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ৭১ এর ঘাতকদের সঙ্গে নিয়েই জিয়াউর রহমান ৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল শহীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আজও জিয়াউর রহমানের দোসরদের উত্তরসুরীরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের প্রিয় নেত্রীকে এ পর্যন্ত ১৮ বার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা চায় যেকোনো মূল্যে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে। তারা জানে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সবাইকে অত্যন্ত প্রহরীর মতো সর্বদা সর্তক থাকার আহবান জানান কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে দেশবিরোধীদের রাজনীতি করতে দেয়া হয় না, কিন্তু আমাদের দেশে তাদের রাজনীতি করছে। এটাই আমাদের জন্য দুঃখজনক। এদের চিরতরে দেশ থেকে বিতাড়িত করা প্রয়োজন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন এমপি ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন মহী ও মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, প্রচার সম্পাদক সাইফুন্নবী চৌধুরী সাগর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ মশিউর রহমান মোল্লা সজল,ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চিত্র রঞ্জুন দাসসহ বিভিন্ন থানা- ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।