তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার লঙ্কানদের দেয়া ১৩০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বিনা উইকেটে ৬ ওভার বাকি থাকতেই জিতেছে অজিরা। তবে ম্যাচটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের কারণে। দারুণ শুরুর পর যে ২৮ রানে শেষ ৯ উইকেট খুইয়েছে দলটি!
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাবে ৩৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অজিরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও দাসুঙ্কা গুনাথিলাকার ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৯ রান। এরপর চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে ৬১ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন নিসাঙ্কা। ফলে ১২ ওভারের মধ্যেই শতরান করে তারা।
তখন মনে হয়েছিল দুইশর কাছাকাছি হবে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। কিন্তু কিসের কী। নিসাঙ্কা আউট হতেই যেন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে লঙ্কানরা। একের পর এক উইকেট ব্যাটার যোগ দেন উইকেট খোয়ানোর মিছিলে। তাতে মাত্র ২৮ রান যোগ করতেই হারায় ৯টি উইকেট। ফলে সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলে রানআউট হন আসালাঙ্কা। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। স্টার্কের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩১ বলে ৩৬ রান করেন নিসাঙ্কা। এছাড়া গুনাথিলাকার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। এ তিন ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ১৭ রান করেন তিনি। অজিদের পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান দিয়ে একাই চারটি উইকেট নেন হ্যাজলউড। ২৬ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার স্টার্কের।
এরপর বল হাতেও সাদামাটা লঙ্কানরা। ওয়ার্নার ও ফিঞ্চের দাপটে পাত্তাই পায়নি তারা। ১৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দুই ওপেনারই শেষ করে দেন খেলা। তবে ১তম ওভার শেষ হতে যখন দুই বল বাকি তখন বৃষ্টি নেমেছিল মাঠে। তখন অজিদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০১ রান। বৃষ্টিতে আধা ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হলে ১৪ বলে ম্যাচ শেষ করে দেন তারা। এ সময় টপ দাগান ফিঞ্চ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার। ৪৪ বল মোকাবেলা করে ৯টি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। অধিনায়ক ফিঞ্চের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৬১ রান। ০ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কানদের অল্প রানে গুটিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক হ্যাজলউডই পান ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।