নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় আগুনে নিহত ৪৮ জনের মধ্যে ২৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় মরদেহ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
নাম-ঠিকানা মিলিয়ে স্বাক্ষর করে টাকা গ্রহণের পর স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো বুঝিয়ে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়া হয়। মরদেহ হস্তান্তরের সময় স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
এর আগে মরদেহ নিতে সকাল থেকে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে আসতে থাকেন স্বজনরা। এরপর একে একে নাম ধরে ডেকে সিআইডি কর্মকর্তারা মরদেহ হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য লিখে নেন। সবশেষ দুপুরে মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হয়। বাকি ২৪টি মরদেহ শনিবার (৭ আগস্ট) হস্তান্তর করা হবে বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তারা।
সিআইডি পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি (ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ) ইমাম হোসাইন জানান, ডিএনএ পরীক্ষা শেষে ৪৮ জনের মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে ২৪ জনের মরদেহ। অবশিষ্ট ২১ জনের মরদেহ শনিবার হস্তান্তর করা হবে।
সিআইডির ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির কর্মকর্তা রুমানা বলেন, মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়েছে যে, এগুলো স্বজনরা দেখে চিনতে পারবেন না। এ জন্য ডিএনএ’র মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ মরদেহগুলো স্বজনদের না দেখাই ভালো বলে তিনি মন্তব্য করেন।