ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোটের দুটি কাজ রয়েছে। তার একটি হলো- রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন করা এবং সংঘাতটিকে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটো দেশগুলোর সংঘর্ষে পরিণত হওয়া থেকে রোধ করা।
তার নিজ দেশ নরওয়েতে এক গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে বক্তব্য প্রদানকালে স্টলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটোর একটি নৈতিক দায়িত্ব হলো ইউক্রেন ও ইউক্রেনের মানুষকে সমর্থন করা।
ন্যাটো প্রকাশিত তার পরিকল্পিত মন্তব্যে স্টলটেনবার্গ দাবি করেন, ‘আমরা এমন যুদ্ধ, বেসামরিক মানুষজনের উপর আক্রমণ এবং ধ্বংসযজ্ঞ দেখছি, যা কিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আর দেখা যায়নি। আমরা এমন পরিস্থিতিতে অনড় থাকতে পারি না।’
ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্টলটেনবার্গ বলেন- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যা চান তা যদি তিনি সামরিক শক্তি ব্যবহার করে পেয়ে যান, তাহলে বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া যদি এই যুদ্ধে জয়লাভ করে, তাহলে তিনি নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে সহিংসতা কার্যকরী। তখন প্রতিবেশী অন্যান্য দেশও তার পরবর্তী (শিকার) হতে পারে।’
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার জানায়, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের একাধিক স্থানে গোলাবর্ষণ করছে, যার মধ্যে খারকিভ, স্লোভিয়ানস্ক এবং চেরনিহিভ-এর আশপাশের জায়গাগুলোও রয়েছে।
এদিকে, ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ সামরিক ঘাঁটি, সামরিক সদস্য কেন্দ্রীভূত স্থান, সরবরাহ সহায়ক ঘাঁটি ও গোলাবারুদ মজুদের স্থানগুলোর বিরুদ্ধে আক্রমণে ইউক্রেনের বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান ব্যবহার করছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দেয়।মস্কো ঘোষণা করে, এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেতস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে রাশিয়া।