মাগুরায় খুলনা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) লাবনী আক্তার ও এক কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১শে জুলাই) সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামের নানা বাড়ি থেকে এডিশনাল এসপির গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বুধবার (২০শে জুলাই) দিনগত রাত ১১টার দিকে মাগুরা পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদে মাথায় গুলিবিদ্ধ মাহমুদুল হাসানের মরদেহ পাওয়া যায়।
দু’টি খবরই নিশ্চিত করেছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কামরুল হাসান। তিনি জানান, নানার বাড়ি থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লাবনীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার ‘মৃত্যুর’ কারণ এখনও জানা যায়নি।
কামরুল আরও জানান, লাবনী আক্তার খুলনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার দাদার বাড়ি শ্রীপুরের বরালিদাহ গ্রামে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আজম স্থানীয় নাকোল রাইচন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক।
এদিকে মাহমুদুল হাসান নিজের সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে। তিনি দেড় মাস আগে বদলি হয়ে মাগুরা আসেন।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বুধবার রাতে ডিউটি শেষ করে মাহমুদুল হাসান পুলিশ লাইনে ব্যারাকে ফিরে যান। রাতের কোনো এক সময় তিনি ব্যারাকের ছাদে উঠে নিজের নামে থাকা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন বলে শুনেছি। তারা আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাদের হত্যা করা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দু’জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।