জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ রোববার বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে বন্যাকবলিত সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে বন্যাদুর্গতদের নারী ও শিশুদের অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা তুলে দেওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জবাসীর উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা দেশে একটি নির্বাচন দেখতে চাই। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আপনারা বললেন—একজনও ভোট দিতে পারেননি। কারণ, সেদিন দিনের ভোট রাতে হয়েছে। অথচ, ভোট আপনার নাগরিক অধিকার। যেদিন আপনারা ভোট দিতে পারবেন সেদিনই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহন করব। যেদিন আপনাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব সেদিন আমরা ভোটে অংশগ্রহণ করব।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘আমার আপনার নেত্রী খালেদা জিয়া গৃহবন্দি, তাঁর অবর্তমানে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, টেইক ব্যাক বাংলাদেশ। অর্থাৎ, বাংলাদেশকে তার নিজের জায়গায় আনতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার আগে কোনো নির্বাচন নয়, এ সরকারের অধীনে নয়, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নয়।’
দলের অবস্থান তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের দাবি যখন আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারব, দেশের জনগণ যখন ভোট দিতে পারবে সেই নির্বাচনে জনগনের দল হিসেবে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এ দলের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছিলেন। তাঁর এ আদর্শের লড়াই চলছে, চলবে।’
নারী ও শিশুদের মধ্যে অর্থ সহায়তা তুলে দেওয়ার আগে আরও বক্তব্য দেন, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, সদস্য সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন, জেলার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সহসভাপতি আব্দুল লতিফ জেপি, অ্যাডভোকেট পাবেল চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতারা। সবার বক্তব্য শেষে একে একে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত নারী ও শিশুদের হাতে অর্থ সহায়তা তুলে দেন।